ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) ৩৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রায় এক বছর ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অমানবিক দিন কাটছে তাদের। বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ইফার শূন্যপদে চাকরি রাজস্বখাতে অন্তর্ভূক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। সোমবার (৯ নভেম্বর) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটির দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইফা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। সাবেক মহাপরিচালকের আমলে দাপ্তরিক প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় ৩৫৯ কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়া হয়। সম্প্রতি এক অডিটে ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে ৯৬ টি আপত্তি আনা হয়। আপত্তি আনা হয়েছে কর্মচারীদের ব্যাপারেও। তাই তাদের বেতন বন্ধ হয়ে এক বছর ধরে। অথচ বিভিন্ন পদে জাল সনদে চাকরি, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি, ভুয়া অভিজ্ঞতা দিয়ে চাকরিসহ ইত্যাদি অনিয়ম থাকা সত্বেও তাদের বেতন বন্ধ করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ প্রতিষ্ঠানে এমন অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেন শফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবগত হয়ে কর্মচারীদের সারাদেশের মডেল মসজিদে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু ইফা কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে এই কর্মচারীদের আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দিয়ে শূন্য পদগুলোদে নিয়োগ বাণিজ্য করার পায়তারা করছে। কর্মচারীরা বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ইফার শূন্যপদে চাকরি রাজস্বখাতে অন্তর্ভূক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি খাদিজা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা আক্তার শিলা, লিমন শেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ