খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা ‘হেলথ গার্ডেন নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিক থেকে এক হাজার ৬৫০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ গ্রাম গাঁজা এবং মাদক সেবনের সরঞ্জামাদিও জব্দ করা হয়। ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক সুমন রায়ের কক্ষ (চেম্বার) থেকে মাদকগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আসাদুজ্জামান হিরা ও অথৈ নামের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।
আটক নারী কর্মচারী অথৈকে ৭ মাসের কারাদণ্ড এবং চিকিৎসক নেতা ডা. সুমন রায় ও ক্লিনিক কর্মচারী হিরার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলার আদেশ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বাসক।
জানা গেছে, খুলনা জেলা প্রশাসন ও খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন। ওই ক্লিনিকে অবস্থিত ডা. সুমন রায়ের ব্যবহৃত কক্ষটি (চেম্বার) সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সুমন রায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের খুলনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলা শাখার প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক এবং বিএমএ কেন্দ্রীয় শাখার কাউন্সিলর।
ওই ক্লিনিকের মালিকানার একটি অংশ তার রয়েছে বলে জানা গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নূর। তিনি বলেন, ডা. সুমন রায়ের কক্ষ থেকে ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে বিদেশি মদের বোতল ও গাঁজা এবং ইয়াবা সেবনের উপকরণ পাওয়া গেছে। এ কারণে ওই কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক