জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আমরা আওয়ামী লীগের সাথে মহাজোট করেছি, নির্বাচন করেছি। আমাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, তাই বলে আমরা আওয়ামী লীগ হয়ে যাইনি। আজ শনিবার রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাপা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জিএম কাদের বলেন, আমাদের একটি স্বতন্ত্র রাজনীতি রয়েছে। জনগণ যদি মনে করে আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টি এক তাহলে এটা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি কারো জন্য সুখকর নয়। আমরা চাই আমাদের বক্তব্যে আমরা আমাদের রাজনীতি জনগণের কাছে তুলে ধরবো।
জাপা চেয়ারম্যান শিক্ষাঙ্গন বন্ধ প্রসঙ্গে বলেন, যেখানে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার খোলা সেখানে শিক্ষাঙ্গন বন্ধ রাখার কোনো যুক্তি দেখছি না। করোনাভাইরাস আবারও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। সরকার এজন্য কি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে আমরা জানি না। মফস্বলের অবস্থা আরো ভয়াবহ। বেশির ভাগ হাসপাতালে আইসিইউ নেই। সাধারণ মানুষের প্রাইভেট চিকিৎসা করার ক্ষমতা নেই। যে কারণে জেলা শহরগুলোতে করোনার কারণে ব্যাপক প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আজ দেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। বড় তিনটি দল ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দল দৃশ্যমান নয়। এটি ভালো লক্ষ্মণ নয়। রাজনৈতিক দল যত বেশি থাকবে জবাবদিহিতা তত নিশ্চিত হয়। আজ আইন করেও অপরাধ ঠেকানো যাচ্ছে না। এর কারণ দেশে সুশাসনের অভাব।
জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, দেশে ধর্ষণ-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতি ও দুঃশাসনে ছেয়ে গেছে দেশ। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই, বাক স্বাধীনতা নেই। জনগণ আজ কথা বলতেও ভয় পাচ্ছে। সে ভয় ভাঙতে হবে। ভয় ভাঙতে সেই দুর্নীতিমুক্ত ও দুঃশাসনমুক্ত এরশাদের শাসনামলে ফিরে যেতে হবে।
সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ইসলামী মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ তিন দশক ধরে কাজ করে যাচ্ছে জাপা। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমাদেরকে ক্ষমতায় যেতে হলে আমাদের নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে সকলস্তরের নেতাকর্মীদের সব ধরণের মত পার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জাপার অতিরিক্ত মহাসচিব, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দীন আহমদ বাবলু। প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর নেতা হাজী ফারুক, এমএ সোবহান, শারফুদ্দিন আহমেদ সিপু, আক্তার হোসেন দেওয়ান, ইব্রাহীম আজাদ, আবুল কালাম আজাদ, শেখ নেয়ামত উল্লাহ নবু, শেখ মাসুক রহমান, এমএ কাইয়ুম, জুবের আলম রুবেল, আবুল বাসার বাসু, হুমায়ন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকহাক ভূঁইয়া প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক