- হোম
- নগর জীবন
- কিশোরকে যুবক দেখিয়ে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ
...
অনলাইন ভার্সন
এসপির কাছে পরিবারের নালিশ
কিশোরকে যুবক দেখিয়ে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬ বছরের এক কিশোরকে যুবক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলার এজাহারে তার বয়স দেখানো হয়েছে ১৯। এ নিয়ে বুধবার ওই কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে রাজশাহীর পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের সঙ্গে ওই কিশোরের জন্ম নিবন্ধন সনদ সংযুক্ত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরের বাড়ি বাগমারা উপজেলার মাঝিগ্রাম গ্রামে। গত ২০ অক্টোবর থেকে ওই কিশোর রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। পরিবার বলছে, কিশোর বলে ছেলেটিকে সংশোধনাগারে রাখা যেত। কিন্তু এজাহারে বয়স বাড়ানো হয়েছে বলে তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে।
পরিবারের দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, পাশের একডালা গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে ওই কিশোরের মোবাইলফোনে যোগাযোগ ছিল। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পরে তাদের প্রেমে গড়ায়। গত ১৯ অক্টোবর মেয়েটি ওই কিশোরকে এসএমএস পাঠিয়ে বাড়ির সামনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। সে অনুযায়ী ছেলেটি গেলে মেয়ের পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি বাদীপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ওই কিশোরের বয়স বাড়িয়ে ১৯ করেছেন। তিনি মামলার ভালো রিপোর্ট দেবেন ওই কিশোরের পরিবারের কাছে পাঁচ হাজার টাকাও চান। তাকে তিন হাজার টাকা দেওয়া হয়। এসআই গণি ওই কিশোরের মোবাইল ফোন ফেরত দিলেও মেয়েটির পাঠানো এসএমএস ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। এসবের তদন্ত দাবি করেছে কিশোরের পরিবার।
এসআই ওসমান গণির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘আমি এই থানায় দু’দিন আগে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি জানা নেই।’
তিনি বলেন, আসামির বয়স কম হলে আদালত তাকে যশোরে কিশোর সংশোধনাগারে রাখতে পারেন। এছাড়া রাজশাহী কারাগারেও কিশোর ওয়ার্ডে রাখা হয়।
এজাহারে ওই কিশোরের বয়স বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, এজাহারে হয়তো বাদী এভাবেই লিখেছিলেন। তবে এটি কোনো সমস্যা নয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এটা ঠিক করে নেবেন। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে শিশু আদালতে ‘দোষীপত্র’ দাখিল করা হবে। আর অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া না গেলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।