শিরোনাম
২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৩:৫৫
সময় টিভির প্রতিবেদন

৪০০ ডলারে কানাডিয়ান হয়ে গেলেন নরসিংদীর সৈকত!

অনলাইন ডেস্ক

৪০০ ডলারে কানাডিয়ান হয়ে গেলেন নরসিংদীর সৈকত!

নিজেকে ভেরিফায়েড এক্সপার্ট ও কানাডার নাগরিক দাবি করা সৈকত মিয়া আসলে নরসিংদীর বাসিন্দা

৪০০ ডলার খরচ করে কিনেছেন বিদেশি এক নাগরিকের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্টে দিয়েছেন পেজ ভেরিফিকেশনের বিজ্ঞাপন। খরচ মাত্র ২০ হাজার টাকা। অনেকেই বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে হয়েছেন প্রতারিত। পুলিশ বলছে, নিজেকে ভেরিফায়েড এক্সপার্ট ও কানাডার নাগরিক দাবি করা সৈকত মিয়া আসলে নরসিংদীর বাসিন্দা। মিশরের একটি হ্যাকার দল অনলাইন ব্ল্যাক মার্কেটে এসব পেজ কেনাবেচার ব্যবসা করে বলেও তথ্য আছে গোয়েন্দাদের কাছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় আহমেদ। ফেসবুকে তার অনুসারীর সংখ্যা ৬৭ হাজার। নিজের অ্যাকাউন্টটি ভেরিফিকেশনের ইচ্ছা তার। ফেসবুকে একটি গ্রুপের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন মাত্র ১০ হাজার অনুসারী থাকলেই অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করে দেওয়া হয়। ওই গ্রুপের একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগাম ১০ হাজার টাকা আর নিজের ইউজার আইডি দেন। তারপর কী হলো? ভুক্তভোগী হৃদয় আহমেদ জানান, লগ ইন করতে না পারার পর তার নম্বরে ফোন করি। এরপর তিনি আমাকে ব্লক করে দেয়। বিভিন্ন ব্লাক মার্কেটে যে গ্রুপগুলো আছে, সেখানে আমার এটি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দেন তিনি। তখন আমি পুলিশের শরণাপন্ন হই।

মামলা হওয়ার পর পুলিশ খোঁজ পায় চার্লস এন্ড্রুস ব্রায়াম নামে একটি ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টের, যার মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন হৃদয় আহমেদ। তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানায়, নিজেকে কানাডিয়ান নাগরিক দাবি করা ওই ব্যক্তির আসল নাম সৈকত মিয়া। পরে নরসিংদী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত জানান, ৪০০ ডলার খরচ করে মিশরীয় এক নাগরিকের কাছ থেকে তার ভেরিফায়েড পেজ কেনার পর নিজের নামে চালানো শুরু করেন।

ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার বলেন, সৈকত মিয়া আসলে দুটি পদক্ষেপে এটি করত। প্রথমত বলত যে ভেরিফায়েড করতে ২০ হাজার টাকা লাগবে, ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করত। এরপর সে যখন টাকা পেয়ে যেত তখন সবাইকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে বলত। এরপর সে ওই ইউজার আইডি দিয়ে পেজের নিয়ন্ত্রণটা নিয়ে নিত। এভাবে সে প্রতারণার কাজ করত।

ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, মিশরের একটি হ্যাকার দল অনলাইন ব্ল্যাক মার্কেটে এসব পেজ কেনাবেচার ব্যবসা করে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।

ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করতে কয়েক হাজার লোক সৈকত মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে তথ্য আছে গোয়েন্দাদের কাছে। যাদের অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর