শিরোনাম
- রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত
- ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
- ‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
- ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
- বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
- ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা
- দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
- এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধন ১০ দিনের রিমান্ডে
- গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
- ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
- নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
- সিআরআইয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ : জয়-পুতুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
- র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে তানজিদ
- বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য ভোট চাইলেন ভিপি সাইফুল
- খালেদা জিয়া আমাদের মনোবল-সাহস: এ্যানি
- স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- সরাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
- বগুড়ায় অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার
দুলুসহ বিএনপির ৪ নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুসসহ দলের চারজনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এ আবেদন দেওয়া হয়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল আবেদন পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আবেদন পেয়েছি। এটার এখন পরবর্তী বিষয়গুলো দেখা হবে।’
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলার এই আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, মামলার আবেদন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া হয়েছে। তিনি অনুমোদন দিলে মামলার পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ছাড়াও আরও যাদের আসামি করার আবেদন করেছেন তারা হলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক সিটি মেয়র ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।
আবেদনে বলা হয়, গত ২ মার্চ বিএনপি রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশ করে। মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের সঞ্চালনায় সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিএনপির এই চার নেতা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের অসৎ উদ্দেশ্যে নেতাকর্মী, সাংবাদিক, আইনশৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতিতে মিজানুর রহমান মিনু প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘হাসিনা রেডি হও, আজ সন্ধ্যার সময়, কালকে সকাল তোমার নাও হতে পারে, মনে নাই পঁচাত্তর সাল? পচাত্তর সাল মনে নাই?’
মামলার আবেদনে আরও বলা হয়, মিনুর এই ঘোষণার পর বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উগ্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। কিছু নেতাকর্মী সমাবেশের এই বক্তব্য ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেন। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদুস তালুকদার দুলুসহ অন্যরাও একইভাবে বক্তব্য দিয়ে ঘৃণা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করেন এবং বেআইনিভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকার উৎখাতের হুমকি দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাসহ নির্বাচিত সরকার উত্থাতের প্রকাশ্য ঘোষণা ও হুমকি দিয়ে তারা রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধ করেছেন। যা বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি বিপদজনক ও হুমকিস্বরূপ।
মামলার আবেদনের পর দুপুর নগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কেউ যেনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার সাহস না পায়, সেজন্য তাদের মামলার এই সিদ্ধান্ত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলার অনুমতি দিবে বলে তিনি আশাবাদী। না হলে দলীয়ভাবে কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি মীর ইকবাল, নওশের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ।
উল্লেখ্য, সমাবেশে আরেকটি আগস্ট ঘটানোর ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় বিক্ষোভ-সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। মিনুকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় আওয়ামী লীগ। নাহলে মামলা করারও ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। আর ওয়ার্কার্স পার্টি মিনুকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। আল্টিমেটামের ৭২ ঘণ্টা পর মিনু গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন। তবে ক্ষমা না চাওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মামলার আবেদন করা হলো।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর