জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও বিমানবালা তামিমা সুলতানার বিয়ে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এখনো শেষ হয়নি। অন্যের বউকে বিয়ে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে বিষয়টি আইনি লড়াই পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে এখনো কোনো সমাধানে আসেনি। এরই মধ্যে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে বিয়ের তালাকের কাগজপত্র নিয়ে কথা বলেন তামিমা তাম্মি। যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে তামিমা মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তার আগের স্বামী রাকিবের তীব্র সমালোচনা করে- তাকে একজন সাইকো হিসেবে তুলে ধরেন এবং তাকে মেডিকেলে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে এক হাত নিয়েছেন।
তামিমা রাকিবকে অ্যাধ্যাত্মিক টাইপের অল্প শিক্ষিত বলে ইঙ্গিত দিয়ে আরও বলেন, আমি জানি যে তার (রাকিব) শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক কম। রাকিব একজন সাইকো। কারণ সাইকোলজিক্যাল সমস্যা বলেই সে হাতে, গলায় তাবিজ পরে। আর আধ্যাত্মিক টাইপের কথাবার্তা বলে। আমি বলব, ওকে মেডিকেলে পাঠানো হোক।
এছাড়া মেয়ে তুবাকে রাকিবের এটিএম কার্ড বলেছেন তামিমা। একইভাবে তামিমা মা সুমি আক্তারও রাকিবকে মিথ্যাবাদী বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাকিব যা বলেছে সব মিথ্যা। সে জীবনে কোনো সত্য কথা বলেছে কিনা সন্দেহ।’ তবে ওই অনুষ্ঠানে নাসির হোসেন ও রাকিব হাসানকে নতুন করে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমাকে বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। বিয়েকে স্মরণীয় করতে ভালোবাসা দিবসটিকেই বেছে নেন তিনি। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহ পার না হতেই চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি নাসিরের স্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসে।
শোনা যায়, রাকি সঙ্গে তামিমার বিয়ে হয় ১১ বছর আগে। সেই ঘরে কন্যাসন্তানের বয়স এখন নয় বছর। রাকিব জিডি করে বলেন, তামিমার সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়নি। ডিভোর্স ছাড়া স্ত্রী কীভাবে অন্যের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন সেই প্রশ্ন তার। এ জন্য স্ত্রীর বিরুদ্ধে জিডি করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক