রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম জহিরুল ইসলাম (৪৫)। উপজেলার মেরামতপুর গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম মৃত জয়েন শাহ।
জহিরুলের পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরকে গতকাল শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরে জহিরুল নিজেই সেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছাড়েন। এরপর শুক্রবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার কিশোর উপজেলার উত্তর মেরামাতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা চারঘাট পৌরসভার মেরামাতপুর মহল্লার বাসিন্দা।
শুক্রবার নির্যাতনের পর স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোর জহিরুল ইসলামের পুকুরে গোসল করতে যায়। তখন অন্য কয়েকজন পুকুরে মাছ ধরছিল। কিছু সময় পর জহিরুল পুকুর পাড়ে আসেন। এ সময় কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ সময় জহিরুল ওই কিশোরের কান ধরে তাকে পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন। এরপর একটি গাছের সঙ্গে তাকে বেঁধে রাখেন। তাকে মারধর করা হয়। ঘণ্টা খানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে জহিরুল ইসলাম ওই কিশোরকে গাছে বেঁধে রাখার দৃশ্য ফেসবুকে শেয়ার করেন। এ ঘটনায় রাতে ওই কিশোরের বাবা থানায় মামলা করেন।
ওই কিশোরের বাবা বলেন, চুরির অপবাদ দিয়ে তার ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। অন্য কেউ তার পুকুরে মাছ চুরি করতে পারে, আমার ছেলে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল। তবুও তাকে মারধর করা হয়েছে। সে এখন হাসপাতালে আছে।
রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাছে বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া নির্যাতনের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করায় একই মামলায় জহিরুলের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আজ দুপুরের মধ্যেই গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ