হেফাজতে ইসলামের সন্ত্রাসী তাণ্ডবের পরও প্রশাসন কেন নিরব- এমন প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসাইন। তিনি বলেন, এই কি জাতির জনকের সোনার বাংলা?
আজ শুক্রবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মাওলানা ইসমাইল হোসাইন বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে সরকার, প্রশাসন, সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও অরাজনৈতিক দল হেফাজতে ইসলাম নিয়ে এক চতুর্মুখী সংঘর্ষে সমগ্র দেশে সাধারণের জানমালের নিরাপত্তা কেড়ে নিয়েছে।
গত ২৬ মার্চ দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পূর্তিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুম্মার নামাজের পর যে সাধারণ জনগণ ও পুলিশ বাহিনীর সংঘর্ষ হয় তা মূলত এর পরবর্তী ঘটনাগুলোর পটভূমি। কোন প্রকার আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীকে দল-মত-নির্বিশেষে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে পুলিশ প্রশাসন। সেদিন যদি জুম্মার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কোন হেফাজতকর্মী অথবা সাধারণ জনগণ কোন প্রকার রাজনৈতিক উস্কানিমূলক অথবা অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড করে থাকে তবে নিঃসন্দেহে পুলিশের ক্ষমতা প্রয়োগ করে সেটাকে দমন করা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাটহাজারী থানা, এসিল্যান্ড অফিস এবং আরও কিছু সরকারি প্রশাসনিক ভবন পুড়িয়ে দেয়। তৎক্ষণাৎ পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল মেরে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে এবং এই প্রক্রিয়ায় ৬ জন ছাত্র নিহত হয়। গত ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে ভয়ানক অগ্নিসংযোগ ঘটায় মাদ্রাসার ছাত্ররা, সেটা ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় বটে। প্রাথমিক ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ১৩৫ কোটি টাকা। এই অবস্থায় হেফাজতের সন্ত্রাসী তাণ্ডব, প্রশাসন নিরব কেন? এই কি জাতির জনকের সোনার বাংলা?
উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব আল্লামা সাইখুল হাদিস প্রিন্সিপাল শাহাদাত হোসাইন, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শাহ মো. ওমর ফারুক, হাফেজ মাওলানা মুফতী মোস্তফা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল আবেদীন, হাফেজ মাওলানা মুফতী শহিদুল ইসলাম, মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, খতিব আল্লামা হযরত মাওলানা তাহেরুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহসেন চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত