পিয়াজ ক্ষেতে গাঁজা চাষের অপরাধে রাজশাহীর বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমানকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক কাসেম আলীর স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মাহাবুর রহমান বাসুপাড়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা অবস্থায় দলের প্রভাব খাটিয়ে পিয়াজ ক্ষেতে গাঁজা চাষ করছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পিয়াজ ক্ষেতে গাঁজা চাষের অপরাধে বাগমারা থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে এরই মধ্যে মামলাও হয়েছে। সেই মামলায় মাহাবুর রহমান পলাতক থাকলেও তার ছেলে কলেজছাত্র সাগরকে (১৯) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে আদালত তাকে করাগারে পাঠিয়েছেন।
এ কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে উপজেলা কৃষক লীগের জরুরি সভায় দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মাহাবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমানের ক্ষেতে পিয়াজের সঙ্গে বেড়ে উঠছিল বেশ কিছু গাছ। দেখতে গাঁজার গাছের মতো হওয়ায় সন্দেহবশত থানায় খবর দেন স্থানীয় লোকজন। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ক্ষেত থেকে মোট ২৪ কেজি ওজনের ৫৫টি গাঁজার গাছ জব্দ করে পুলিশ। সোমবার (৫ এপ্রিল) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে খুঁজিপুর গ্রামে। পরে পুলিশ ওই কৃষক লীগ নেতার ছেলে সাগর আহম্মেদকে (১৯) আটক করে। সাগর একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। খবর পেয়ে তার বাবা মাহাবুর রহমান পালিয়ে যান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বাগমারা থানা পুলিশ জানায়, মাহাবুর নিজের পিয়াজ ক্ষেতে গোপনে ৫৫টি গাঁজার গাছ লাগিয়েছেন। তিনি ও তার ছেলে এগুলোর পরিচর্যা করতেন। সোমবার স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর রাতে খুঁজিপুর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ আসার খবর পেয়ে সটকে পড়েন কৃষক লীগের নেতা।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পুলিশ ওই ক্ষেত থেকে ৫৫টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে। থানায় মামলা হয়েছে। আটক সাগরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মাহাবুরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত