নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা এলাকায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেখা আক্তারের (২৪) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে কামতাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও ভাসুর পলাতক আছেন। নিহত রেখা বেগম উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে অভিযুক্ত গনি আমিন ও তার ভাই নাজির ও কামাল পালিয়ে যায় একই গ্রামের জমির আমিনের ছেলে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে রেখা আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরপর একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত জমির আলীর ছেলেগনি আমিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর মধ্যে এক ছেলে আব্দুল্লাহ (৭) ও মেয়ে তানজিলা (৪) রয়েছে।
নিহতের ভাবি ছানোয়ারা বেগম জানান, ৮ বছর আগে গনি আমিনের সঙ্গে রেখার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কারণে অকারণে রেখার ওপর নিযার্তন চলতো। ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত দেখে আশপাশের মানুষজনকে ডেকে এনে রেখাকে নিচে নামিয়ে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রবিবার রাতে ঝড় বৃষ্টিতে গাছের আম পড়ে। সেই আম ঘরে না আনার অজুহাতে স্বামী গনি আমিন সোমবার বিকেলে রেখাকে মারধর করে। এসময় ভাসুর নাজির আলী রেখাকে মারধর ও গালিগালাজ করে। প্রতিনিয়ত স্বামী-ভাসুরের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক সুজন বলেন, গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর কলহ চলছিল। তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল