দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক মানুষই অসহায়-দরিদ্রদের সেবা করে যাচ্ছেন। তাদেরই একজন ব্যবসায়ী এএসএল এর স্বত্বাধিকারী আফতাব আহমেদ। জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানকে দিচ্ছেন চিকিৎসা সামগ্রী।
করোনাযোদ্ধা হিসাবে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। সেই বিবেচনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য তিনি দুটি হাই ফ্লো অক্সিজেন কনসেনট্রেটরও দিয়েছেন। দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) সাধারণত কিডনী রোগীদের ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা থাকে না। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের আইসিইউতেও কিডনী ডায়ালাইসিস করানোর জন্য ব্যবস্থা ছিল না। করোনাকালে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের আইসিইউতে কিডনী ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা করে দেন এই ব্যবসায়ী।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর নিজ এলাকা ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সদর হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী যেমন-স্যানিটাইজার, মাস্কসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেছেন। করোনাকালীন সময়ে বেশ কয়েকবার চাল, ডাল এবং তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করেছেন। একইভাবে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি দিয়েছেন।
আফতাব আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই সেবামূলক এসব কাজ করছি। মানবিকতা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে এসব করছি না। বলা যায় নৈতিকতার কারণেই এসব কাজ করছি। কোন প্রচারের জন্য নয়, মানবতার জন্য কাজ করছি।
উল্লেখ্য, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন ডিইউ -৮৩ এর একজন সদস্য।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল