রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বলদীপুকুরে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন যাত্রী। এদের মধ্যে ১১ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা গ্রামের মৃত আবদুল হাকিম মুন্সীর ছেলে আবদুল মতিন (৭২), নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে আহসান হাবীব (২৭), গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামের বাবু মিয়ার শিশু কন্যা বাবলি খাতুন (৯), একই জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জরম নদি গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে কৃষক ফরিদ মিয়া (৩৫) ও ঢাকার ধামরাই উপজেলার সাভার চৌতাল গ্রামের মৃত আবদুল হকের ছেলে আবদুল খলিল (৫০)। তিনি দুর্ঘটনা কবলিত সেলফি পরিবহনের চালক।
বড় দরগাহ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ ইয়ামিন উর দৌলা ও মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৮টার দিকে রংপুর থেকে জোয়ানা পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। অপরদিকে, বিপরীত দিক থেকে সেলফি পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের দিকে আসছিল।
বাস দুটি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বলদীপুকুর নামক স্থানে পৌঁছালে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই বাসের সামনে অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনা স্থলেই সেলফি পরিবহনের চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনা স্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের রংপুরের উপ-পরিচালক শামসুজ্জামান জানান, আমরা চালকসহ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছি। আহত অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের কয়েকজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বড় দরগাহ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ ইয়ামিন উর দৌলা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হয়। পুলিশের সাথে উদ্ধার অভিযানে মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট অংশ নেয়। নিহতদের লাশ স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই