রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
সদ্য গঠিত বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটির নেতাদের জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি ছিলো। কর্মসূচিতে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সকাল থেকে মাজারে জড়ো হন। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় পুলিশের।
এর পর সেখানে মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হককে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এ সময় উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান তার সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, মহানগর নেতাকর্মীরা জিয়ার মাজারে এসেছে। আসার পরই তাদের ওপর বিনা উস্কানিতে প্রথমে লাঠিচার্জ, তারপর টিয়ারসেল-গুলি চালিয়েছে। সেই গুলিতে আমাদের ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ শত শত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
আমান উল্লাহ বলেন, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য আমরা এসেছি, আমরা আসবো। হয়তো একদিন আমাদের পাশে লেখা থাকবে ‘শহীদ’। সেই শহীদ হলেও আমরা চূড়ান্ত লক্ষ্যে ইনশাল্লাহ পৌঁছাবো। হয়তো আমি মৃত্যুবরণ করতে পারি, আব্দুস সালাম, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু মৃত্যুবরণ করতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে বিএনপি এগিয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও জানা যায়নি কতজন আহত হয়েছেন। তবে অসংখ্য, অগণিত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অনেকে গুলি লেগে রাস্তায় পড়ে আছেন। আজকে বিজয় সরণি, নাইটিংগেল, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, মানিক মিয়া এভিনিউ, কাজিপাড়া সব জায়গায় বাধা দিয়েছে। যাতে কোনো নেতাকর্মীরা এখানে না আসতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন