আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্টের ঘটনা একই সূত্রেগাথা। এসব কর্মকান্ডের কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না। আজ দুপুরে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট তৎকালীন বিএনপি জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সারাদেশে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে এ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চন্দ্র গুহের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুল রহমান বাবু, সহসভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, নির্মল চ্যাটার্জী, আবদুর রাজ্জাক, গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, গ্রন্থনা প্রকাশনা সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল হক বিপুলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও মহানগরের বিপুলসংখ্যক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, ১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের ত্রান সম্পাদক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ধারায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, চলমান করোনা সংকটে অসহায়, দুঃখ মানুষের পাশে দাঁড়ালেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি সঠিক সম্মান প্রদর্শন এবং তার আত্মা শান্তি পাবে।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিলো ১৫ আগস্ট, নির্মমতার দিক থেকে এমন রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের নজির পৃথিবীতে আর নেই। জগতে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অবলা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীকে।
সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তার সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ নৃশংসভাবে নিহত হন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি, তারা পরবর্তীতে তিন নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে কারাকক্ষে হত্যা করে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন