২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:০০

গ্রেফতারের পর আইনজীবীর পরামর্শ নেয়া আসামির সাংবিধানিক অধিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

গ্রেফতারের পর আইনজীবীর পরামর্শ নেয়া আসামির সাংবিধানিক অধিকার

কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর তাকে তার মনোনীত আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার সুযোগ দিতে হবে, এটি তার সাংবিধানিক অধিকার। অপরাধী যত বড়ই হোক না কেন, সে যেন আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে সেদিকে সবারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। 

শনিবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত মাসিক পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যখন কোনো ব্যক্তিকে কোনো পুলিশ অফিসার গ্রেফতার করবেন তখন সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতারের তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ করে গ্রেফতারের স্মারকলিপি প্রস্তুত করে আসামির স্বাক্ষর নেবেন এবং পরিবারের লোকজনকে জানাবেন, যেন তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। 

আদালতের বিচারকবৃন্দ, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি, বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দসহ ফৌজদারি মামলার বিচার ও তদন্তে জড়িত ব্যক্তিবৃন্দকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে অতি উৎসাহী না হয়ে আইনানুগ পন্থায় নিজ নিজ দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করতে দিক নির্দেশনা দেন তিনি।

সভার সভাপতি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল বাহার বলেন, আসামি যদি কোনো কারণে জখমপ্রাপ্ত হয় তবে তার ব্যাখা গ্রেফতারের স্মারকলিপিতে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে এবং চিকিৎসকের মতামত নিতে হবে। গ্রহণযোগ্য ব্যাখা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি গ্রেফতারের স্মারকলিপি প্রস্তুতে সরবরাহকৃত ফরম ব্যবহার করার প্রতি নির্দেশনা দেন। এছাড়া তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় রিমান্ড আবেদনে নিরুৎসাহিত করেন। 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুকুমার রায়, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মাহমুদ ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রাজিউল হক প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর