দেখতে দেখতে পৌষ মাষের ৩ দিন চলে গেল। রংপুরে রাতে তাপমাত্রা কম থাকলেও দিনের বেলা ছিল শরতের দুপুর। প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালে শনিবার সারাদিন ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। রোদের তীব্রতা ততটা প্রখর না হলেও মানুষকে বলতে শোনা গেছে, শীতের আকাশে দেখা দিয়েছে মেঘমুক্ত শরতের সূর্য। দুপুরের দিকে অনেক বাসা-বাড়িতে বিদ্যুতের ফ্যান ঘুরতে গেখা গেছে।
শনিবার সকালে ঝকঝকে রোদ থাকায় জনমনে স্বস্থি ছিল। বেলা যত বাড়তে থাকে, রোদের তীব্রতাও বাড়তে থাকে। দুপুরে রীতিমত গরম অনুভব হয় এই অঞ্চলে। অনেককে ফুলহাতা জামার পরিবর্তে হাফহাতা জামা পড়ে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। বিকেল হতে হতে রোদের তীব্রতা কমে আবার শীত অনুভূত হতে থাকে।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারাও বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছেন। তারা বলছেন, হঠাৎ সূর্যের তাপ বেড়ে যাওয়ায় কুয়াশা সরে গিয়ে এমন গরম অনুভূত হয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের প্রভাব ও আদ্রতাও কমে যাওয়ায় শীতের মাত্রা হঠাৎ করে কমে গিয়ে গরম অনুভূত হয়েছে। শীতকালে সাধারণত এমন আবহাওয়া দেখা যায় না।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, শনিবার বাতাসের আদ্রতা কম থাকায় সূর্যের উত্তাপ বেশি অনুভূত হয়েছে। শনিবার এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। বাতাসের সর্বোচ্চ আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। দুই চারদিনের মধ্যে এই অঞ্চলে আবার শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই