১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:৫০

তৈমূরকে কোর্ট চত্বরে পেয়ে গ্রেফতারকৃত কর্মী-সমর্থকের স্বজনদের আহাজারি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

তৈমূরকে কোর্ট চত্বরে পেয়ে গ্রেফতারকৃত কর্মী-সমর্থকের স্বজনদের আহাজারি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারকে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় জড়িয়ে ধরে গ্রেফতারকৃত কর্মী-সমর্থকের পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করেছেন। তাদের আহাজারিতে তৈমূর আলমও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। 

এ সময় গ্রেফতারকৃত জয়দেব চন্দ্র মণ্ডল ওরফে মানিকের স্ত্রী অঞ্জনা রানী আহাজারি করে তৈমূরকে বলেন, 'আমার স্বামী আপনাকে বেশি ভালোবাসে। তাই আপনার বাসায় এসে সে গ্রেফতার হয়েছে। আপনি তাকে ছাড়িয়ে দেন। স্বামী ছাড়া আমার কেউ নাই। ঘরে শিশু সন্তান কয় দিন ধরে বাপকে খুঁজে পায় না। কষ্ট হচ্ছে সন্তানকে সান্ত্বনা দিয়ে রাখতে। সোমবার হেফাজত ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাশকতার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে জয়দেব চন্দ্র মণ্ডল ওরফে মানিকসহ ১০ জনকে আদালতে উঠানোর সময় এ ঘটনা ঘটে।'

রিমান্ড শুনানিতে গ্রেফতারকৃতদের পক্ষে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম, তার মেয়ে ব্যারিস্টার মারিয়াম খন্দকারসহ অন্তত ২০ জন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, আদালত উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ করেছেন। পরে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মমতাজ মিয়া, জামাল, গিয়াস উদ্দিন প্রধান, আহসান হোসেন ভুঁইয়া, মনির হোসেন, আহসান উল্লাহ, বোরহান উদ্দিন, আবু তাহের ও জয়দেব চন্দ্র মণ্ডল ওরফে মানিক।

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, গণগ্রেফতারের কারণে আমার কোনো কর্মী-সমর্থক নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। শুধু তাই নয়, গ্রেফতারের ভয়ে অনেকেই বাড়িতে থাকতে পারেননি। এতে অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারিনি। কেন্দ্রের সামনে আমার হাতি প্রতীকের ব্যাচ পরিহিত কাউকে দেখলেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের টার্গেট ছিল আমাকে পরাজিত করার। আমি আমার গ্রেফতারকৃত কর্মী সমর্থকদের নিজেই ওকালতি করে জামিনে মুক্ত করব।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর