গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশের মানুষের বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তি দিতেই এ হরতাল কর্মসূচি। মানুষ অধিকার আদায়ে রাস্তায় নেমেছে। নতুন ঐক্যের সূচনা ঘটেছে। এ ঐক্য আরও ব্যাপক রূপ লাভ করবে। এ সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।
তিনি বলেন, সকালে মিরপুর হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করলে পুলিশ আমাদের ৯ নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। তাদের এখনো ছাড়া হয়নি। একইসঙ্গে সারাদেশেও বেশকিছু নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টনে পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকী।
তিনি বলেন, দেশে যে নাভিশ্বাস চলছে তাতে কর্মজীবী মানুষের পক্ষে একদিনও কাজ ছাড়া থাকা কঠিন। তারা কাজে নেমেছেন। মালিকপক্ষ পরিবহনগুলোকে জোর করে নামিয়েছে। রিকশাচালক, সিএনজি চালক, বাস চালক, পথচারীরা তারা কাজে যাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু বলে যাচ্ছেন- হরতালে আমাদের সমর্থন রয়েছে। কাজেই জনগণের বিরাট এই সমর্থন সরকারের জন্য ভয়ের ব্যাপার। তাই শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বাম জোটের সমন্বয়ক সমাবেশে শেষ কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। এরকম সময়ে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করলো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেককে আহত করেছে। আমাদের বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা বাচ্চু ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত। সাইফুলসহ বাম জোটের অনেকে লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন। আর আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীরা তো আহত হয়েছেনই। এটা অত্যন্ত নেক্কারজনক। আমরা তীব্রভাবে এর নিন্দা জানাই।
জোনায়েদ সাকী বলেন, আমাদের বারবার আহ্বান সত্ত্বেও পুলিশ লাঠিচার্জ বন্ধ করেনি। তারা পানি ঢেলেছে এবং অন্যান্যভাবে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ব্যবহার করেছে।
প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাম গণতান্ত্রিক জোটের আধাবেলা হরতাল চলে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত