নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইরে জাহিদ হাসান (২৮) নামক গার্মেন্টস শ্রমিককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় ছিনতাইকারী চক্রের দুই মূল হোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম। হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৫ এপ্রিল রাতে ছিনতাইকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও গ্রেফতারকৃতদের ৩টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ফতুল্লার মাসদাইর এলাকার নূর মোহাম্মদের পুত্র মো: রাকিব (২৫), মাসদাইর বাজারের মৃত মাঈনউদ্দিনের পুত্র মো: বাবু (২৮) ও একই এলাকার মো: আলীর পুত্র মো: শাকিল (২৮)। এর আগে সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ছয়টার দিকে ফতুল্লা থানার মাসদাইর শেরেবাংলা সড়কে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে সাব্বির (২৯) নামের এক ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সাব্বির ফতুল্লা থানার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত জাহিদ হাসানের বড় ভাই মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত জাহিদ হাসান কুমিল্লা জেলার দেবিদ্ধার থানার শ্রীপুরের শহিদুল্লাহর ছেলে ও ফতুল্লা থানার গলাচিপার হুমায়ুন কবিরের ভারাটিয়া। তিনি একটি গার্মেন্টেসের প্রিন্ট সেকশনে কাজ করতো।
আজ বিকেলে র্যাব-১১ এর উপ পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মুনিরুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র্যাব-১১ বরাবরই বিভিন্ন ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। গার্মেন্টস শ্রমিক জাহিদ হত্যাকণ্ডের ঘটনাটি র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর দৃষ্টিগোচরে আসলে আসামিদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে রাকিব, বাবু ও শাকিল নামের ছিনতাইকারী চক্রের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তাদের মূল হোতা রাকিব ও সাব্বির। উক্ত হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা রাকিব ও সাব্বিরের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই সংঘবদ্ধ চক্রটি ছিনতাই করে আসছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এই সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রটি আরো ভয়ংকর হয়ে উঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ এপ্রিল সকালে গার্মেন্ট শ্রমিক জাহিদ তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে এই ছিনতাইকারী চক্রের কবলে পরে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি ইতিপূর্বে শতাধিক ছিনতাই এর ঘটনায় জড়িত বলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
অপরদিকে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে সাব্বির নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল