ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ৬৭০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রামুড়া, তারাব, বরাব, রূপসী, কর্ণগোপ, ভুলতা এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে এসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
মহাসড়কের এইসব অংশগুলো ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সড়কে যানবাহনের চাপ একটু বেশি। বিশেষ করে বাস ও প্রাইভেটকার চলাচল করছে বেশি। এছাড়া পণ্যবাহী যানবাহনের চাপও লক্ষ্য করা গেছে বেশি। তবে কোথাও যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ করা যায়নি। যানজট এড়াতে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।
কথা হয় বিএম কোরবান আলী নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি জানান, গত দু’বছর করোনা সংক্রমণের জন্য ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি। এবার পরিস্থিতি ভালো থাকায় তিন দিন আগেই গ্রামে চলে যাচ্ছি। এবার মহাসড়কে দেখলাম অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আশা করছি এবার স্বাচ্ছন্দেই গ্রামে যেতে পারবো।
নারায়ণগঞ্জ থেকে থেকে আসা অপর যাত্রী হাসান মিয়া জানান, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছি। অন্য বছরের চেয়ে এ বছর একটু বেশি ভালো লাগছে। আসতে দেখলাম সড়কের অনেক পুলিশ ডিউটি করছে। অতিরিক্ত পুলিশ থাকায় যানবাহন চালকরা সড়কে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করছে। এতে করে আমাদের ভোগান্তি অনেকটাই কমে গেছে বলে জানান তিনি।
শাহানা আক্তার নামে এক যাত্রী জানান, পুলিশ থাকায় সড়কের শৃঙ্খলা ঠিক রয়েছে। সব ধরনের যানবাহন সুন্দরভাবে চলাচল করছে। এভাবে যদি যানবাহন চলাফেরা করে তবে যানজটের যে ভোগান্তি পোহাতে হয় তা অনেকাংশে আমাদের কম হবে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি নিরসনে আমরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কে যেকোনো গাড়ি বিকল হয়ে গেলে তা সরানোর জন্য দুইটি রেকার প্রস্তুত করে রেখেছি।
হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আহমেদ খান বলেছেন, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ও এটি দেশের ইকোনমিক লাইফলাইন। এখানে ৪০ হাজার গাড়ি চলাচল করে, সেটা যদি ৬০ হাজারও হয় তবুও সমস্যা হবে না। যানজট ও যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে কাজ করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের ৬৭০ জন সদস্য ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন