ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
সোমবার দুপুরের পর থেকে মেঘের আড়ালে চলে যায় সূর্য। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের কোথাও কোথাও ভারী এবং অতি ভারী বৃষ্টি সহ ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। এর পরবর্তী ৩-৪ দিনও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় অশনি’র প্রভাবে অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর সমুহে ১ নম্বর সতর্কতা এবং সমুদ্র বন্দর সমুহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২২৯টি সাইক্লোন শেল্টার। সেখানে গবাদী পশু রাখারও ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মাসুদ রানা রুবেল জানান, সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৭.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের কোথাও কোথাও ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরবর্তী ৩ থেকে ৪ দিন অশনির প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। অশনির প্রভাবে দুপুরের পর থেকে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় অশনি’র প্রভাবে অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং সমুদ্র বন্দর সমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি ১ থেকে ২ ফুট পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। অশনির প্রভাবে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হৃাস পেতে পারে বলে বলে জানান উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বুলেটিন-৯ নম্বরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুপুরে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এবং এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার। যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানলে স্থানীয় জনগণের সুরক্ষায় জেলায় ২২৯টি সাইক্লোন শেল্টার (আশ্রয় কেন্দ্র) প্রস্তত রেখেছে জেলা প্রশাসন। কেন্দ্রগুলোতে গবাদী পশু রাখার ব্যবস্থা সহ শুকনো খাবার এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন