কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) ও দেশের অন্যান্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে ইসি।
নির্বাচনে সেই সিসি ক্যামেরায় কাউকে গোপন কক্ষে উঁকি দিতে বা দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ইসির আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কমিউনিকেশন) স্কোয়াড্রন লিডার শাহরিয়ার আলম।
যদিও এই নির্বাচনে দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা বুথে এক পোলিং কর্মকর্তাকে উঁকি দিতে দেখা গেছে। কুমিল্লা নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গোপন কক্ষে দুইজন একসঙ্গে ভোট দিচ্ছেন গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
স্কোয়াড্রন লিডার শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘কুমিল্লা নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুজনকে দেখা যাওয়ার অভিযোগ আছে। যদিও সিসি ক্যামেরায় আমরা এর সত্যতা পাইনি। এছাড়া পোলিং কর্মকর্তার উঁকি দেওয়ার দৃশ্যও আমরা সিসি ক্যামেরায় এখনও দেখতে পাইনি। যদিও আমরা এসব নিয়ে তদন্ত করছি। ঘটনা সত্য হলে হয়তো এর প্রমাণ পাওয়া যাবে।’
শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, ‘আমরা কুমিল্লার বিষ্ণপুরের এক নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একজন ব্যক্তি ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছিলেন। এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হবে। যেসব অভিযোগ উঠবে, তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু, ভোট প্রদানের স্থানকে ক্যামেরার বাইরে রাখা হয়েছে। কুমিল্লা সিটির জন্য ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে ৭৯৭টি। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কোডের মাধ্যমে আমরা প্রতিটি কেন্দ্রে মনিটরিং করতে পারবো।’
এর আগে সকালে কুসিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী গোপনকক্ষে শুধুমাত্র ভোটার থাকার কথা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত