এবারের কুরবানির ঈদে ২০ হাজার দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় চরম অসহায় পরিবারগুলোকে এই খাদ্য সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এজন্য সমাজের বিত্তবান মানুষদের প্রতি আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে মাত্র ৫০ লাখ টাকার যোগান হয়েছে। আরো দেড় কোটি টাকার প্রয়োজন। আশা করি সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই খাদ্য সহায়তার মধ্যে থাকবে-চার কেজি চাল, আধা কেজি মাংস, আধা লিটার সোয়বিন তেল, দুই কেজি আটা ও আলু, লবণ, মরিচের গুঁড়া, মসলাসহ একটি প্যাকেজ (ফুডব্যাগ) খাদ্য উপহার। মানবতার সেবায় সকল প্রকার দান আয়কর মুক্ত থাকবে।
এ বিষয়ে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার দেশের দরিদ্র মানুষ কুরবানি ঈদে কোন ধরনের আনন্দ করতে পারবেন না। দ্রব্যমূল্য দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে যাওয়ায় ঈদের দিন এসব মানুষের চোখে জল ছাড়া আর কিছুই থাকবে থাকবে না। প্রায় তিন কোটি পরিবার এবার ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা উদ্যোগ নিলে হয়তো তিন কোটি মানুষকে খাবার দিতে পারবো না। কিন্তু কয়েক লাখ মানুষকে খাদ্য সহয়তা দেওয়া যাবে। এই মানবিক বিবেচনা থেকেই আমরা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের উদ্যোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা যাদের বেতন ২০ হাজার টাকার উপরে-তাদের এক মাসের বেতন থেকে ন্যূনতম ৫ শতাংশ টাকা করে দান করেছেন। এতে ৫০ লাখ টাকার যোগান হয়েছে। কিন্তু ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহয়তা দিতে দরকার আরো দেড় কোটি টাকা।
এ জন্য দেশের বিত্তবান ও ব্যবসায়ীসহ বিকাশ একাউন্টধারী ও সচ্ছল প্রবাসীদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সারাদেশ থেকে এ বছর ৫৩ হাজার মানুষ হজে যাচ্ছেন। তারা যদি ১০ হাজার টাকা করেও দান করেন-তাহলে ৬ লাখ পরিবার ঈদের কয়েকটা দিন ভালভাবে পেট ভরে খেয়ে অতিবাহিত করতে পারবে। এতে আমার মনে হয় মহান আল্লাহ-পাক বেশি খুশি হবেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন