নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার গেটের সামনের রাস্তায় আনন্দ ভূঁইয়া (২৭) নামে এক যুবক নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন।
শনিবার বিকালে এই চেষ্টা চালান তিনি। তখন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দৌড়ে গিয়ে ওই যুবককে জাপটে ধরে ফেলেন। এতে রক্ষা পায় যুবকের জীবন।
ওই যুবক উপজেলার পাঁচরুখী গ্রামের ইব্রহিম ভূঁইয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি থানা হেফাজতে রয়েছেন। পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে তার স্ত্রী চলে গেছে। এমন খবরে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে রাগ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
আনন্দ ভূইয়া জানান, দুই বছর আগে আড়াইহাজার উপজেলার বগাদী গ্রামে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে। এর মধ্যেই স্ত্রী অপর এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত হন এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। শনিবার সকালে আনন্দ বাইরে থেকে বাড়িতে এসে দেখতে পান তার স্ত্রী ও সন্তান ঘরে নেই। তখন স্ত্রীর মোবাইলে ফোনে করলে পরকীয়া প্রেমিক ফোন রিসিভ করেন এবং এই নম্বরে আর কল দিতে নিষেধ করেন। আর এই কষ্টে তার স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বিকালে আড়াইহাজার থানার সামনে অবস্থান নেন। সেইসঙ্গে নিজের শরীরে আগুন দেওয়ার জন্য কেরোসিন ঢালেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, থানার সামনের রাস্তায় এক যুবক শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আমি বিষয়টি দেখতে পেয়ে দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরে ফেলি। যার কারণে তিনি আগুন দিতে পারেননি। পরে তাকে সাবান দিয়ে গোসল করাই এবং আমাদের হেফাজতে আনি।
তিনি আরও বলেন, পরে ওই যুবককে আগুন দেওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার স্ত্রী বাচ্চাকে নিয়ে ভোরবেলা পালিয়ে গেছেন। ফোন দিলে তাকে পান না। এই জন্য রাগে কষ্টে রাস্তায় আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এখন থানায় তার স্ত্রী ও শ্বশুর আসছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ