২৯ জুন, ২০২২ ২২:১৭

শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১২টি দফতর/সংস্থার মধ্যে অনন্য নজির স্থাপন করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এ কারণে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ।

প্রতিষ্ঠার এই স্বল্প সময়ের মধ্যে এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। 

একই অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার চেয়ারম্যান ও সংস্থা প্রধানরা।  

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠার এ স্বল্প সময়ের মধ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদের দক্ষ লিডারশীপের কারণে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি ২০২২-২৩ এর শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, এপিএ চুক্তি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের দর্পণস্বরূপ। বর্তমানে এপিএ চুক্তির মাধ্যমে একটা প্রতিষ্ঠানে সফলতা/ব্যর্থতা প্রতিফলিত হয়। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে এপিএ চুক্তি বার্ষিক উদ্ভাবন কর্ম পরিকল্পনা এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিকভাবে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে আসছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেল। আগামী বছর যাতে এই পজিশন ধরে রাখতে পারি, সেজন্য কাজ করতে হবে। আমাদের কাজের অগ্রগতি প্রায় শতভাগ। যেহেতু নতুন প্রতিষ্ঠান হয়েছে অনেকেই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে জানতো না। আমরা জানানোর চেষ্টা করছি।

জানানোর জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে গেছি, সভা করেছি। আমাদের ইনোভেটিভ উদ্যোগ হলো মানুষ যাতে সহজে সেবা পায়। কক্সবাজারের জন্য মহাপরিকল্পনা হচ্ছে জানিয়ে ফোরকান আহমেদ বলেন, সেটি যখন বাস্তবায়ন হবে কক্সবাজার জেলার মধ্যে কোথায় কী হবে তা নির্ধারিত হবে। তখন সবাইকে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সবাইকে সহযোগিতা এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া আমাদের কাজ।  

মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে কী পরিকল্পনা আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে ফোরকান আহমেদ বলেন, আমি মনে করি অপরিকল্পিতভাবে কক্সবাজার গড়ে উঠেছে। সেই অপরিকল্পিত কক্সবাজারকে পরিকল্পিতভাবে একটি আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী যাতে হয় সেজন্য চেষ্টা করছি। এজন্য অনেকগুলো এক্সপার্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সে কাজ শেষ হবে।

পরিকল্পিতভাবে যেখানে আবাসিক সেখানে আবাসিক, যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে পর্যটন সেখানে পর্যটন স্পট হবে। আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো। মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী গড়তে আমরা বদ্ধ পরিকর। এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমার টিমের প্রত্যেকের অবদান রয়েছে বলেও  উল্লেখ করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর