চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অবস্থিত এক কৃষকের বাড়িতে শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে র্যাব-৫ রাজশাহীর একটি দল। উদ্ধার হওয়া হেরোইনের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। এ সময় বাড়ির মালিক জিয়ারুল ইসলামকে (৩৫) আটক করা হয়। তবে কৌশলে পালিয়ে যায় তার সঙ্গে থাকা অপর সহযোগী। জিয়ারুল চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর কোদালকাটি জেলেপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আজ শনিবার র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালান চক্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত এলাকা হতে কৌশলে মাদকদ্রব্য চোরাচালান করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী সীমান্ত থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক সরবরাহ করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সীমান্ত দিয়ে মাদক নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানোর আগে চক্রটির অন্যতম হোতা জিয়ারুলের বাড়িতে মজুদ রাখা হয়।
দুর্গম চর এলাকায় ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে র্যাবের অপারেশন দল দীর্ঘ ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বসে থাকে। অভিযানের একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৩টায় জিয়ারুল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় ওই বাড়ি থেকে একজন ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে জিয়ারুলকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব।
আটকের পর জিয়ারুলকে জিজ্ঞাসাবাদে হেরোইন মজুদের কথা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার ঘরে প্লেন সিটের বাক্সের নিচে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৪ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। আসামি জিয়ারুলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে এবং পলাতক আসামি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত। এই চক্রটির সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় কৃষি কাজের আড়ালে সীমান্তের ওপার থেকে কৃষকের ছদ্মবেশে হেরোইন চোরাচালান করে আসছিলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা এ পন্থায় মাদক সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় তার বাড়ি হওয়ায় কৃষি কাজের আড়ালে সীমান্তবর্তী ভারতে প্রবেশ করে সেখান থেকে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হিরোইন নিয়ে আসতো। উদ্ধার হওয়া হেরোইনের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। এই বিপুল অর্থের হেরোইন জিয়ারুলের মতো কৃষকের একার পক্ষে আনা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিয়ারুলের পেছনে অন্য কেউ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর