রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকার একটি সাততলা বাসা থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মোছা. লাবনী আক্তার সোহাগী (২৪)। তারগ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার উত্তর গুপিনাথপুর গ্রামে। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের মা ছিলেন।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সোহাগী।
খিলগাও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোছা. সোনিয়া পারভীন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে বনশ্রীর ব্লক-এইচ, রোড-৬ বাসা-৬ এর সাততলার ফ্ল্যাটটিতে যাই। সেখান থেকে একটি লোহার খাটে শোওয়ানো অবস্থায় সোহাগীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
সোহাগীর বড় ভাই রাসেল জানান, ‘রাতে আমরা জানতে পারি আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে ঢামেকের মর্গে এসে তার মরদেহ দেখতে পাই।
তিনি বলেন, ‘জানতে পেরেছি, পারিবারিক কলহের জেরে সে আত্মহত্যা করেছে। আমার বোন আসলেই অনেক রাগি ও জেদি প্রকৃতির ছিল। এ বিষয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’
সোহাগের স্বামী আমির হোসেন পুলিশকে বলেন, ‘গতকাল আমি অফিসের কাজের জন্য বাইরে যাই। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় ফিরলে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে ঝগড়া হয়। পরে আমার স্ত্রী নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দেয়। পরে দরজার কাছে গিয়ে ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকি। দেখি, আমার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে বাসায় এসে মরদেহ উদ্ধার করে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ