নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে আজ বিশ্ব ওজন দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় যাদুঘর প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শোভাযাত্রায় মন্ত্রণালয় ও তার অধীন বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, পেশাজীবী সংগঠন এবং বিভিন্ন বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ স্কাউট ও গার্লস গাইডের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
হাবিবুন নাহার বলেন, ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওজোনস্তর রক্ষার উদ্দেশে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ কানাডার মন্ট্রিয়েল শহরে মন্ট্রিয়েল প্রটোকল নামে একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করে।
দিবসটি স্মরণীয় করে রাখা এবং ওজন স্তর রক্ষার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৫ সন থেকে বিশ্ব ওজন দিবস বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে।
বিশ্ব ওজন দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিয়েল প্রটোকল-জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল’ যথার্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, নিজদের অস্তিত্বের স্বার্থেই ওজন স্তর রক্ষা করতে হবে।
বিশ্ব ওজন দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে উপমন্ত্রী বলেন, বায়ুমন্ডলের গুরুত্বপূর্ণ ওজন স্তর সুরক্ষার জন্য এই স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য বা গ্যাস যা এসি, ফ্রিজ, এরোসল, ফোম, ইনহেলারে ব্যবহার করা হয় সেগুলো মন্ট্রিয়েল প্রটোকল নির্ধারিত পরিমাণে আমদানি ও ব্যবহার হ্রাসে বাংলাদেশ সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, সেই সঙ্গে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব গ্যাস ও প্রযুক্তির প্রচলন ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের প্রাইভেট সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রযেছে এবং পিপিপি মডেলে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। বর্তমানে আরও কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়া ওজন স্তর ক্ষয়কারী গ্যাসসমূহ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় এই গ্যাসসমূহের ব্যবহার হ্রাসের মাধ্যমে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য ভূমিকা রাখছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত