ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ফুলবাড়িয়ার কয়েকটি মার্কেটে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে ফুলবাড়িয়া ব্যবসায়ীরা।
আজ শনিবার রাজধানীর সিটি প্লাজার সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ফুলবাড়িয়া মার্কেট, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা ও জাকের মার্কেটে দীর্ঘদিন ধরে মার্কেট দখলে রেখে চাঁদাবাজি করছে ডিএসসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন ও মানিক বাহিনী। এই বাহিনীতে রয়েছে রোম্মন শেখ, মোয়াজ্জেম, শাহীনসহ আরও অনেকে। যদিও নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা ও জাকের মার্কেটের পার্কিং ইজারা নিয়েছেন রাইতা ট্রেড ইন্টারন্যাশল নামে কাউন্সিলরের প্রতিষ্ঠান।
পার্কিংয়ের নাম দিয়ে ফুটপাথে বসা দোকানিদের থেকে দৈনিক ২০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করছেন। একইসাথে এসব মার্কেটের স্থায়ী দোকান থেকেও চাঁদা আদায় করছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কেনাকাটা করতে আসা ব্যবসায়িরাও চাঁদা দিতে হয়। মার্কেট থেকে মালামাল কেনার পর তা বস্তায় ভরে নিচে নামালেই টাকা দিতে হচ্ছে তাদের। এ ক্ষেত্রে বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা নিচ্ছে এই চক্রটি। আর ফুটপাতের দোকানিদের দৈনিক ১০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্য নগর প্লাজা মালিক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন ও মানিক বাহিনীর কাছে অতিষ্ঠ ব্যবসায়িরা। তাদের বাহিনীর লোকজন মার্কেটের স্থায়ী ও ফুটপাথের দোকান থেকে প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা চাঁদা উঠান। আমরা এই চাঁদার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ জানিয়েছি। এর কারণে কাউন্সিলরের বাহিনী আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি থানায় জিডি করেছি। শিগগিরই এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
তিনি আরও বলেন, এই চক্রটি অনেকদিন যাবৎ মার্কেটগুলো দখল করে এবং ব্যবসায়িদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করতো। বিদ্যুৎ বিলের নামে দোকানপ্রতি এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা আদায় করেছে। কিন্তু তারা বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। এখন পর্যন্ত শুধু নগর প্লাজা মার্কেটের ৪০ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। আর অন্যান্য মার্কেটের তো রয়েছেই।
মানববন্ধনে সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা ও জাকের সুপার মার্কেটের মালিক সমিতির নেতারা ছাড়াও সাধারণ ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত