বরিশালের চরমোনাই দরবার শরীফের ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মহফিল শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। বাদ জোহর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের সূচনা করবেন পীর সাহেব চরমোনাই ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। এদিকে মাহফিল মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা এবং আগতদের চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এবার মাহফিলে আগত দেশি বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ৩০০ একর জমিতে, ৬ টি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের সুবিধার্থে সামিয়ানা, প্রয়োজনীয় বাতি এবং পর্যাপ্ত মাইক সাটানো হয়েছে। ওজু-গোসল ও টয়লেটের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা ছাড়াও জরুরী চিকিৎসার জন্য ১শ’ শয্যার অস্থায়ী একট হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। সড়ক পথে আগতদের যানবাহন এবং নৌ পথে আগতদের নৌযান রাখার জন্যও রয়েছে পৃথক ব্যবস্থা।
৩ দিনের মাহফিলে পীর সাহেব মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ও নায়েবে আমীরুল মুজাহিদিন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম ৭ টি বয়ান করবেন। এছাড়া দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান ওলামা মাশায়েখগন মাহফিলে বয়ান করবেন।
মাহফিলের ২য় দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মাহফিলে আগত ওলামা মাশায়েখ ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ওলামা মাশায়েখ বুদ্ধিজীবী সম্মেলন এবং তৃতীয় দিন সকাল সাড়ে ১০টায় আগত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মঞ্চের বাইরে সুবিধাজনক স্থান ও সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সমাবেশ, শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক সমাবেশ, যুবকদের নিয়ে যুব সমাবেশ, শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণে শ্রমিক সমাবেশ এবং মুয়াল্লিমদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে চরমোনাই মাহফিল মিডিয়া গ্রুপ থেকে জানানো হয়েছে।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল ৮ টায় পীর সাহেব চরমোনাই আখেরি বয়ান শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে ৩ দিনব্যাপী মাহফিল সমাপ্ত করবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
এদিকে চরমোনাই মাহফিলের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে বিএমপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯২৪ সাল থেকে চরমোনাই মাহফিলে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয় বলে জানিয়েছে মাহফিল আয়োজক সূত্র।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল