সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জে হাজারও নেতাকর্মীর বিশাল পদযাত্রা করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।
শনিবার বিকেলে শহরের খানপুর হাসপাতাল সড়ক থেকে এ পদযাত্রা শুরু করে বিএনপি। এর আগে দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন খানপুর এলাকায়। বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীর মিছিলে পুরো শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, দমনপীড়ন বন্ধ, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিলসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে এই পদযাত্রা করছে বিএনপি।
এতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর পক্ষে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। পরে পদযাত্রা কর্মসূচিটি শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়াসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম রবি, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান রোজেল, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম ইমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান প্রমুখ।
এদিকে, পদযাত্রা কর্মসূচির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ আজ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে। এ সরকার ভুয়া ভোটের সরকার। তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা সংসদের মাধ্যমে এমন একটি সরকার গঠন করেছে যাদের সাথে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই। তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। এ পরিস্থিতি চলতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছি শান্তিতে বিদায় নিয়ে চলে যান। আপনারা ক্ষমতা হস্তান্তর করুন একটি নিরপেক্ষ সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো। আমরা এই অলিখিত বাকশালকে দূর করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। সরকার মনে করে আমরা সরকারবিরোধী। আমরা সরকার বিরোধী নই, সরকারের অপকর্মের বিরোধী। সরকার অত্যাচার জুলুম করছে তাই আমরা সরকারের পদত্যাগ চাই।
খালেদা জিয়া আবারো রাজনীতিতে ফিরবেন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আগামীতে আমরা বাংলাদেশে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও রাজনীতিতে দেখতে চাই। তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আমরা জনগণের সরকার গঠন করবো।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত