জুমার নামাজের আগে ও পরে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা। ভোট পেতে দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। আধুনিক বরিশাল বিনির্মাণে নিজ নিজ প্রতীকে ভোট চেয়েছেন তারা।
শুক্রবার নগরীর চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত। নামাজের আগে এবং পরে উপস্থিত মুসুল্লিদের সাথে গণসংযোগ করেন তিনি। নতুন বরিশাল বিনির্মাণে নৌকায় ভোট চান তিনি।
এ সময় খোকন সেরনিয়বাত গণমাধ্যমকে বলেন, মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ তিনি। ১২ জুনের ভোটে নির্বাচিত হলে এই নগরীর প্রধান প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবেন। বেকার সমস্যা সমাধান, জলাবদ্ধতা নিরসণ ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নে নানামুখি পদক্ষেপ নেবেন। বর্ধিত এলাকার উন্নয়নেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস সকালে নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী বাজারে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বরিশালে লাঙ্গল বিজয়ী হলে স্থানীয় মানুষ একজন জনবান্ধব মেয়র পাবেন। তারা উন্নয়ন পরিকল্পনা দেয়ার মতো একজন যোগ্য নেতা পাবেন। নির্বাচিত হতে পারলে বরিশালকে আইটি’র শহরে পরিণত করার পাশাপাশি উৎপাদনমুখি কলকারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ভোলার গ্যাস বরিশাল সরবরাহ, বর্ধিত এলাকার উন্নয়ন এবং ২২টি বস্তির জীবনমান উন্নয়নেও কার্যকর ভূমিকা রাখার কথা বলেন ইকবাল হোসেন তাপস। পরে তিনি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল সড়কের আল আকসা জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন।
এদিকে সকালে নগরীর চাঁদমারী এলাকায় গণসংযোগ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নগরীর বর্ধিত এলাকায় কোন উন্নয়ন হয়নি। নির্বাচিত হতে পারলে আগামী একশ’ বছর মেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন। সড়কগুলো দ্রুত সম্প্রসারণ, খালগুলো খনন এবং বেকারত্ব ঘোচাতে নানামুখি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন তিনি। পরে নগরীর কাশীপুর মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন তিনি।
অপরদিকে সাবেক মেয়র পুত্র ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন আজ নগরীর রূপাতলী হাউজিং জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। পরে ওই এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
এ সময় রূপন গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে বর্ধিত এলাকার উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেবেন। এছাড়া রাস্তাঘাত সম্প্রসারণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন। বরিশালে শিল্পায়ন তড়ান্বিত করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এছাড়া জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু এবং স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার ও আসাদুজ্জামান গতকাল স্বল্প পরিসরে প্রচারণা চালিয়েছেন।
আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএম মেশিনে। এবার ১২৬ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল
