রাজশাহী রেল স্টেশনের ডিপো থেকে তেল পাচারকালে একটি গাড়ি হাতেনাতে ধরা পড়েছে। এ সময় ২৫০ লিটার ডিজেল জব্দ করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।
রবিবার বিকেলে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে। কমিটির সদস্যরা হলেন-রেলের এসিও (দক্ষিণ) ফারহান মাহমুদ, এসি আরএমবি আরিফুল ইসলাম ও এমওবি (পাকশী) গোলাম মোস্তফা।
জানা গেছে, গত ৫ জুন আরএমসির মাধ্যমে ঈশ্বরদী থেকে ২৫ হাজার লিটার তেল রাজশাহীতে আসে। সেই তেল ৬ জুন খালাস হয়। এরপর রেল গাড়িটি খালাস অবস্থাতেই ছিল। পরে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (এসএসএই) লোকোর ইনচার্জ আবার তেল আনার জন্য খালাস গাড়ির মেমো স্টেশন মাস্টারকে দেন। মেমোতে উল্লেখ আছে, সম্পূর্ণ তেল খালাস হয়েছে। কিন্তু রবিবার গাড়িটি যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গার্ড তেলের ট্যাংক সিলগালা করা দেখতে পান। অথচ খালি গাড়ি সিলগালা করার কোনো নিয়ম নেই।
এতে সন্দেহ হলে তিনি এ বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ডিপো ইনচার্জকে জানালে তিনি জানান, গাড়িতে কোনো তেল নেই। বিষয়টি নিরাপত্তা বাহিনীর গার্ড উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের জানালে বিকালেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর তদন্ত কমিটির উপস্থিতিতে ট্যাংক থেকে তেল জব্দ করা হয়।
রাজশাহী স্টেশন ম্যানেজার আবদুল করীম জানান, তাকে এসএসএই লোকোর দায়িত্বরত ব্যক্তি সম্পূর্ণ তেল খালাস হয়েছে বলে মেমো করে দিয়েছিল। কিন্তু তারা সম্পূর্ণ তেল খালাস না করে কিছু তেল আবারও নিয়ে যাচ্ছিল। এই বিষয়ে তদন্ত চলমান।
তিনি আরও জানান, শিপিংয়ের জন্য ১০ বা ১২ লিটার তেল থাকতে পারে। কিন্তু সেখানে ২৫০ লিটার জব্দ করা হয়েছে। এটা অস্বাভাবিক। এ কারণেই তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্তে কারও সম্পৃক্ততা থাকলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। প্রতিবেদন হাতে পেলেই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।