রংপুর সদর উপজেলায় একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারি বরাদ্দের ৬০ বস্তা ভিজিএফের চাল স্থানীয়রা উদ্ধার করে যে যার মতো বাড়িতে নিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের ভুট্টা ক্ষেত থেকে এসব চাল উদ্ধার হলেও ঘটনাটি বুধবার সকালে জানাজানি হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর নাহার বেগম, সদর কোতয়ালী থানা পুলিশের ওসি সুশান্ত সরকার। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ছিল ভিজিএফ কার্ডধারীদের চাল বিতরণের দিন। ওই দিন চাল বিতরণের ফাঁকে বিকেলের দিকে পরিষদের পেছনের একটি ভুট্টা ক্ষেতে গেলে সেখানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে এলোমেলোভাবে ভিজিএফ’র চালের বস্তাগুলো পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি জানাজানি হলে উপস্থিত লোকজন ভুট্টা ক্ষেত থেকে চালের বস্তাগুলো যে যার মতো করে নিয়ে যায়।
এদিকে এতগুলো চালের বস্তা কে বা কারা ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রেখেছে, এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যরা কেউই মুখ খোলেননি। অন্যদিকে কেউ এই চালের দায়ভার না নেওয়ায় লোকজন যে যার মতো বস্তা ভর্তি চাল নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, আমি হজ করতে যাচ্ছি, তাই চাল বিতরণ ও দেখভালের জন্য ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন ও রত্না পারভীনকে দায়িত্ব দেওয়া ছিল।
তিনি আরও বলেন, চাল বিতরণকালে ট্যাগ অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই উপস্থিত ছিলেন। বিকেল চারটার মধ্যে চাল বিতরণ সম্পন্ন করে সকলে চলে যায়। কিন্তু কিভাবে এতগুলো চালের বস্তা পরিষদের বাইরে গেল, তা আমার বোধগম্য নয়।
এ ব্যাপারে সংরক্ষিত নারী সদস্য রত্না পারভীনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। আর ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন।
রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর নাহার বেগম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে, তা তদন্ত করে বের করা হবে। চাল উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত সরকার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই