ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যান রাজধানীর মালিবাগে। পরে তাকে জিম্মি রেখে মারধরের পর নগ্ন করে তোলা হয় ছবি। পরে পরিচিতদের ম্যাসেঞ্জারে চাওয়া হয় টাকা। পরে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ এ বিষয়ে অভিযোগ করেন ওই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। অভিযোগ পেয়েই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই ভুক্তভোগী ছাত্রকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় অপহরণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন দীন ইসলাম (২৭) ও সাইফুল ইসলাম অপূর্ব (২৮)। ঢাবি ছাত্রকে উদ্ধার ও দুই জন গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।
তিনি জানান, বুধবার (১৪ জুন) সকাল পৌনে দশটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ৭১ হল থেকে ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী ‘জাতীয় জরুরিসেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জানান, তার হলের জুনিয়র ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্র বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাতে মালিবাগ যায়। আজ ভোরে তারা জানতে পারেন, ওই ছাত্রকে আটকে রাখা হয়েছে। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে তার ম্যাসেঞ্জার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরিচিতজনদের কাছে থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে।
ম্যাসেঞ্জারের বলা হচ্ছিল আটক ছাত্রকে খুব মারধর করা হয়েছে এবং নগ্ন করে ছবি তোলা হয়েছে। এক লাখ টাকা না পেলে তাকে ছাড়া হবে না। এ অবস্থায় কলার দ্রুত পুলিশি সহায়তা চান। পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার, ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সায়েম উদ্দীন কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিক খিলগাঁও থানায় বিষয়টি জানান। ৯৯৯ ডিসপ্যাচার এসআই জয়ন্ত ঘরামী সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ গোড়ানের একটি বাসায় ভুক্তভোগী ছাত্রের অবস্থান শনাক্ত করে খিলগাঁও থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে অপহরণ ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ওই ঢাবি ছাত্রকে উদ্ধার করেন তারা। এসময় অপহরণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক