ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে আশরাফুল আলমের (হিরো আলম)। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বলেন আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই বলেন, নিশ্চয়ই আমার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়, না হলে বারবার প্রার্থিতা বাতিল করে কেন?
রবিবার নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার এমন প্রতিক্রিয়া জানান হিরো আলম।
এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসেন খান ১ শতাংশের ভোটার সমর্থনের বিষয়টি প্রমাণ না হওয়ায় হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
বগুড়া তিনটি উপ-নির্বাচনেও একই কারণে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তবে আদালতে গিয়ে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন।
কেন মনোনয়নপত্র বারবার বাতিল হয় বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, নির্বাচন কমিশনই বলেন আর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই বলেন তারা আমাকে দেখে ভয়ই পায় নাকি জানি না। প্রতিবারই তারা কেন প্রার্থিতা বাতিল করে নিজেও জানি না। কারণ বাতিল করার পরেও আমি চেষ্টা করে প্রার্থিতা ফিরেও কিন্তু পাই।
তিনি বলেন, আমার জনপ্রিয়তাকে যদি ভয় নাই পাবে, তাহলে বারবার আমাকে কেন হ্যারেজমেন্ট করা হচ্ছে। তাহলে প্রার্থিতা কেন হলো না। নিশ্চয় তাহলে ভয় পায়।
হিরো আলম আরও বলেন, আপনারা আজকের ঘটনাটা জানেন। আজকে আমার প্রার্থিতা বাতিল করেছে যে কারণে, উনারা যে ভোটারের সংখ্যাটা চেয়েছিলেন, আমরা তা দিয়েছি। উনারা বিদ্যুৎ বিল, ঋণখেলাপি, কোনো কিছুতেই কিছু দোষ বের করতে পারেননি। একটা ভুল দেখাতে পারেনি। বার করছে কি, দশটা ভোটে ভুল দেখিয়েছে। কিন্তু ভোটার কিন্তু আমার সঙ্গে উপস্থিত আছে। ভোটাররা স্বাক্ষর করেছেন, তিনজন এখানে উপস্থিত আছেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা তা তো দেখল না। বললাম, আপনারা যদি চান হাজির করব, আমার পাশেই আছেন ভোটাররা। তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কিন্তু তারা বলছে দশটা খুঁজে পাই নাই।
হিরো আলম বলেন, ভোটে দাঁড়াতে ক্লান্ত নই। ক্লান্ত হলে তো ভোটই করতাম না। এতো বড় আসনে ভোট করতেছি অবশ্যই তো ক্লান্তি আছে গায়ে। আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি, যদি হাইকোর্টে যাই অবশ্যই আমি প্রার্থিতা ফেরত পাব। কারণ আমার কাছে প্রমাণ আছে। তবে আমি অবশ্যই যাবো প্রার্থিতা ফেরত আসার জন্য।
তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ জুন। ভোটগ্রহণ হবে ১৭ জুলাই।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন