সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি।
এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হলেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। যদিও দলটি নির্বাচনের আগেই বয়কট করেছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে বেসরকারিভাবে মেয়র ঘোষণা করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন।
রাজশাহীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ১৫৫ কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল অনুয়ায়ী অপর দুই মেয়র প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট। জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল প্রতীক) পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১৩ ভোট।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, রাজশাহী সিটিতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার সংখ্যা ৬ জন। ভোট কাস্টিং হয়েছে ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
এদিকে, ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আনন্দে ফেটে পড়েন। মহানগরীর রানীবাজারে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে বিজয় উল্লাস করেন। এই উৎসব ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়ও। দলীয় নেতাকর্মীরা নবনির্বাচিত মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকে ফুলের মালা পড়িয়ে উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তালা প্রতীকে ৯৮ হাজার ৩৬০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল বাঘ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট। সেবার ভোট পড়ার হার ছিল ৮১.৬১ শতাংশ।
২০১৩ সালে ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে পরাজিত করেন। ওই বছর ভোট পড়েছিল ৭৬.০৯ শতাংশ।
এরপর সর্বশেষ ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ২০১৮ সালে ভোট পড়েছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত