বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে। শ্রমিক নেতা পরিমল চন্দ্র দাসকে সভাপতি এবং সাবেক ছাত্র নেতা রইজ আহমেদ মান্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৮ সদস্যের কার্যকরী কমিটি অনুমোদন দেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক কেএম আযম খসরু।
ঘোষিত কমিটিতে আবদুল মালেক হাওলাদার, আয়ুব আলী, দুলাল ফরাজি, জালাল জমাদ্দার, কাজী মো. জলিল ও হুমায়ুন কবির মাহিনকে সহ-সভাপতি, মেহেদী হাসান, জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও শহিদুল ইসলাম সাইদকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মো. নাসির উদ্দিন, শেখ রিপন, বেল্লাল হোসেন শিশির, মাসুদ হাওলাদার, সিহাবুল হক সিহাব ও মো. ইমরান হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক, সোহাগ হোসাইন মিঠুকে দপ্তর সম্পাদক, ইয়াসিন আরাফাত নাবিলকে সহ-দপ্তর সম্পাদক, মবিনুল ইসলাম রনিকে প্রচার সম্পাদক এবং আবদুস সালাম, মো. ইউনুচ হাওলাদার, জাকির হোসেন, মো. মোফাজ্জেল হোসেন, আফজাল হোসেন মজুমদার, লতিফ সিকদার লেদু, মো. সুমন সাহা ও রাকিবুল ইসলাম তমালকে কার্যকরী সদস্য করা হয়েছে।
কমিটি অনুমোদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর এবং সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সুপারিশের ভিত্তিতে এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটি পূর্নাঙ্গ করার নির্দেশনা দেয়া হয় অনুমোদনপত্রে।এর আগে সব শেষ ২০১৬ সালে আফতাব হোসেনকে সভাপতি এবং পরিমল চন্দ্র দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি। ওই কমিটির দুই-চারজন বাদে অন্যরা দলীয় কর্মকান্ডে নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় সাংগঠনিক গতিশীলতা ফেরাতে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নবগঠিত কমিটির সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর শ্রমিক লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি আফতাব হোসেন বলেন, শুনেছি ছাত্রলীগের কয়েকজনকে দিয়ে মহানগর শ্রমিক লীগের নতুন কমিটি করা হয়েছে। নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে তার কোন মতামত নেয়া হয়নি। আফতাবের দাবি, মহানগরে শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। সেই থেকেই তিনি এই সংগঠনটির নেতৃত্বে দিয়ে আসছিলেন। কেন তাকে বাদ দিয়ে এক তরফা কমিটি হলো সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
বিডি প্রতিদিন/এএম