রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে কথা-কাটাকাটির জের ধরে স্ত্রী শোভা রানী রায়কে (৪৫) কুপিয়ে আহত করেন স্বামী রবিন্দ। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান শোভা রানী।
শনিবার সকালে উপজেলার মীরবাগ ধর্মেশ্বর ড্রাইভারপাড়া নিজ বাড়ি থেকে স্বামী রবিন্দ্র চন্দ্র বর্মনের (৫৫) লাশ গোয়াল ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতের খাওয়া শেষে ঘুমাতে যান স্বামী-স্ত্রী। রাত দেড়টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রবিন্দ্র ঘরের কাঁথা বালিশ বাইরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ঘরে ঢুকে হাতে থাকা দা দিয়ে শোভার মাথায় এলোপাতাড়ি কোপান। এ সময় রবিন্দ্রের ছোট ভাই চেতন রায় ও চাচাতো ভাই গোপাল এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়।এতে চেতনের কান কেটে যায় এবং গোপালের পিঠে ও হাতের আঙুলে চোট লাগে। অন্য স্বজনরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় শোভা রানী ও চেতনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শোভা মারা যান। চেতন রায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, রবিন্দ্র গোয়াল ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গোয়াল ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনতাছির বিল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন রবিন্দ্র মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই