ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে নবজাতক চুরির ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন শিশুকে দুগ্ধদানকারী নারীই শিশুকে চুরি করে। ওই নারীরও বাচ্চা ছিল। কিন্তু তার বাচ্চার অবস্থা ভালো ছিল না। এ অবস্থা দেখে তিনি শিশুটিকে চুরি করেন।
শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে সেই নারী নুসরাত ও তার স্বামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। নুসরাত সিজারের রোগী। তিনি অসুস্থ থাকায় থানা হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় নুসরাত ছাড়াও গ্রেফতারা হলেন তার স্বামী নাজমুল হোসেন তুষার, শাশুড়ি নাহার বেগম ও ননদ নাদিরা ওরফে খুরশিদা।
আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
তিনি জানান, ঢামেকের শিশু ওয়ার্ডে রাজমিস্ত্রী হিরোন মিয়া ও সাহানা বেগম দম্পতির সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্ত নবজাতকটি মায়ের দুধ পাচ্ছিল না। একই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা নুসরাতের বাচ্চা হয়। এ অবস্থা দেখে নুসরাত নবজাতকটিকে দুধ পান করাতে এগিয়ে আসেন। তিন দিন ধরে সাহানার নবজাতককে দুগ্ধ দান করে আসছিলেন।
তিনি আরও জানান, নুসরাত হিরোন মিয়া ও সাহানা বেগম দম্পতির নবজাতককে দুধ পান করানো অবস্থায় তার শিশুটির অবস্থা ভালো না হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়। ফলে তার শিশুটির বাঁচবে কিনা নিশ্চয়তা ছিল না। এই চিন্তা থেকে নুসরাত সাহানার শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে আজিমপুর এলাকায় শিশুটিকে স্বামী তুষারের হাতে তুলে দেন। এরপর ফের হাসপাতালের বেডে এসে শুয়ে থেকে নাটক করেন। অন্যদিকে তুষার শিশুটিকে তাদের বাসায় নিয়ে যায়।
ডিসি বলেন, পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে। পরে দেখা যায় এক নারী নবজাতকটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। এরপর সেই নারীর পরিচয় পাওয়া যায়। তিনিও রোগী ছিলেন। তার নাম নুসরাত। পরে রাজধানীর কামরাঙ্গীচর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে নুসরাত, তার স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ