নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। আমাদের জিডিপি চায়নারও ওপরে। তাই অনেক বড় বড় শক্তির নজর পড়েছে বাংলাদেশে। ওরা বাংলাদেশকে প্যালেস্টাইন, গাজা বানাতে চায়।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় রওশন আরা কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেন, মানচিত্রে শকুনের ছায়া পড়েছে। থাবা দিবে কয়েকদিন পরে। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। আমরা পারব না। আমি ক্লিয়ার করে বলছি না, তোমরা টেনশন করবে। আগামী এক মাস খুব ক্রুশিয়াল। তোমাদের ভবিষ্যত আফগানিস্তান বা গাজা হবে কী না তা এই এক মাসে নির্ধারিত হবে। এই স্বাধীন দেশে আমাকে কেন বলতে হবে তোমাকে কী করতে হবে। চয়েজ তোমার। আমি এমপি না হলে আমার ছেলে মেয়েদের সময় দিতে পারব। আমি রাজনীতি করি একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য। আমি বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ কথা বলছি।তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশকে হত্যা করা হল। পুলিশ তো কোন দল করে না। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছিল। তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলল। তারপর ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা তাকে চাপাতি দিয়ে কোপাল। প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা করল। আওয়ামী লীগের মহিলাদের মিছিলে হামলা করে গায়ের কাপড় খুলে ফেলা হল, ব্লাউজ ছিড়ে ফেলা হল।
তিনি বলেন, চলন্ত বাসে ওরা আগুন দিচ্ছে। এর নাম কী রাজনীতি। যারা ক্ষমতায় আসার আগে পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারে ক্ষমতায় আসলে কী করবে চিন্তা করো। সমস্যা আমার না, তোমার। ভাল চয়েজ করলে ভাল পাবে খারাপ চয়েজ করলে খারাপ পাবে।
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে এমন কোন রাস্তাঘাট নেই, স্কুল কলেজ নেই যেখানে কাজ করিনি। ডিএনডির কাজ হয়েছে। পুরো বছর আগে পানির নিচে থাকত। জুন মাসে এটার কাজ শেষ হবে। এটি অসম্ভব সুন্দর একটি কাজ হবে। আমাদের প্ল্যান ছিল পাগলায় নৌকায় উঠব শীতলক্ষ্যায় এসে নামব। লিংক রোডের কাজ হচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর সড়ক হবে এটা। এটার সাথেই হবে আমার মায়ের নামে নাগিনা জোহা সড়ক। আরেকটা রাস্তা হবে পঞ্চবটী থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, তোমাদের ফিউচার গার্মেন্টস সেক্টর না আইটি সেক্টর। আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে ঢুকে গেছি। তোমাদের ফাইট হবে মেধা দিয়ে। এই পার্কের পাশেই হবে শেখ কামাল আইটি ইনিস্টিউট। নারায়ণগঞ্জে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হবে। জাতীয় সংসদের শেষ দিনে লিংক রোডের পাশে বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পাশ হয়েছে। এখানে ৫শ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হবে। তোমরাই এখানে কাজ করবে-ব্যবহার করবে। এখানে আমরা এডুকেশন ও মেডিকেল হাব করতে চাই। সারা বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা এখানে লেখাপড়া করতে আসবে। এটা আমার স্বপ্ন।
তিনি আরও বলেন, আমি সব কাজ করতে পারছি। একটা কাজ করতে পারছি না। আমরা যে স্কুল কলেজ করব, তোমরা ভোগ করবে। তবে এ সমাজটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে মাদক। তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশকে ভালবাসতে কোন দল করার দরকার নেই। দেশকে ভালবাস। একটা কিছু কর দেশের জন্য।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত