সারাদেশের বিভাগীয় শহরে জরিপে রাজধানী ঢাকার পরই রংপুরে সর্বোচ্চ শব্দের মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই রেকর্ড দেশের মধ্যে দ্বিতীয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালের জরিপে ঢাকায় সর্বোচ্চ ১২৯ দশমিক ৪ ডেসিবল শব্দের মাত্রা রেকর্ড করা হয়। একই সময়ে রংপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ১২৮ দশমিক ৫ ডেসিবল।

এ ছাড়া সিলেটে ১০৭ দশমিক ৩, খুলনায় ১১৩ দশমিক ১, রাজশাহীতে ১২৩ দশমিক ৭, ময়মনসিংহে ৮৬ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ১০১ দশমিক ৬ ডেসিবল সর্বোচ্চ শব্দের মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সায়ফুজ্জামান ফারুকী, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, রংপুর রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।

সভায় শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করেন রংপুর মেডিকেল কলেজের নাক, কান ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এএইচএম রশিদ-ই-মাহবুব। আলোচনা সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একটি জনসচেতনতামূলক র‌্যালি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই