ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে অপারেশন করিয়ে দেয়ার নামে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা (২৫) নামে এক নারী দালালকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে ঢামেক হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই নারী দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী রোগীর স্ত্রী কল্পনা আক্তার জানান, তার স্বামী নুর আলমের গলায় টিউমার হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন স্থানে চেষ্টা করেছিলেন। পরে তার দেবর সাভারের বাসিন্দা জামালের মাধ্যমে পরিচয় হয় ওই নারীর সাথে। ওই নারী আমাদের জানিয়েছেন স্বামীর অপারেশন দ্রুত করিয়ে দিতে ৩০ হাজার টাকা লাগবে। চুক্তি মোতাবেক গত বুধবার ২৮ হাজার টাকা দেয়া হয়। ওই দিন তিনি নাক, কান ও গলা বিভাগে তাকে ভর্তি করিয়ে দেন। আজ হাসপাতালের ওই বিভাগে গিয়ে চুক্তির বাকি দুই হাজার টাকা দাবি করেন। পরে তাকে টাকাটা দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেখানে কর্তব্যবরত চিকিৎসককে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নিজেকে মেডিকেল শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। বিষয়টি ওই চিকিৎসকের সন্দেহ হলে তিনি আনসারকে ডেকে তাদের হাতে ধরিয়ে দেন এবং বিষয়টি পরিচালকের শরণাপন্ন হয়। পরে পরিচালক নিশ্চিত হন মেয়েটি একজন দালাল। সে স্বর্ণা পরিচয় দিয়েছিল, সেই নামে এক মেডিকেল শিক্ষার্থী রয়েছে। মেয়েটি তা জেনেশুনেই তার নাম স্বর্ণা ব্যবহার করেছে।
বিষয়টি স্বীকার করে ইউনিফর্ম পরিহিত স্বর্ণা বলেন, আমি তাদের চিকিৎসা করিয়ে দেয়ার জন্য টাকা নিয়েছি। ইউনিফর্ম পরা ও মেডিকেল শিক্ষার্থীর পরিচয় দেয়ার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে। এ জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেয়েটিকে আটক করে ভুক্তভোগীসহ আমাদের কাছে সোপর্দ করেছেন। পরে আমরা শাহবাগ থানায় সোপর্দ করি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত