গত ১৩ দিন ধরে নিখোঁজ স্ত্রী, শিশু ছেলে ও কন্যাকে পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে স্বামী।
রবিবার বরিশাল মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে ওই মামলা করেন স্বামী মেহেদি হাসান মিথুন। তিনি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চর সন্তোষপুর গ্রামের বাসিন্দা ও রড সিমেন্ট বিক্রেতা।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহম্মেদ মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য কাজীরহাট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
নিখোঁজ স্ত্রী রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যার ছাত্রী রওনক জাহান ওরফে নওরিন বর্ষা (২৫), চার বছর বয়সী কন্যা সিদরাতুল মুনতাহা ও দেড় বছর বয়সী মুনাবী ইসলাম মুসা।
মামলার আসামিরা হলেন- কুড়িগ্রামের রামরাম সেন এলাকার বাসিন্দা রংপুর বেগম রোকেয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র জেলাল হোসেন (২৭), তার ভাই মো. বাদশা (৪৫),
সালাম (৪২) ও আবুল কালাম (৩৮) এবং তাদের বাবা আজগর আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে প্রেম করে মিথুন ও বর্ষা বিয়ে করে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুবাধে জেলাল হোসেনের সঙ্গে স্ত্রী বর্ষার পরিচয় হয়। এ সুত্রে জেলাল স্ত্রীকে উচ্চ বেতনে বিদেশে চাকুরির প্রস্তাব দেয়। গত ১৮ নভেম্বর
চাকুরির ইন্টারভিউয়ের কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে যায় জেলাল। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ নেই।
বাদীর ধারনা তার স্ত্রীকে পতিতাবৃত্তি ও অন্য কোন যৌন শোষন বা নিপিড়নের উদ্দেশ্যে পাচার করেছে। এছাড়াও তার দুই শিশু সন্তানকে বিক্রি করেছে অথবা মেরে ফেলেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমএস