রংপুর নগরীর প্রাণ কেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খাল অবৈধ দখল-দূষণে মরতে বসেছিল। শ্যামাসুন্দরীকে দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার সকালে রংপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহমুদ হাসান মৃধার নেতৃত্বে নগরীর সাব রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন শ্যামাসুন্দরী খালের উপরে থাকা নানা ধরনের অবৈধ অবকাঠামো উচ্ছেদ করাসহ সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে। এসময় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে রংপুর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ও ডিমলার রাজা জানকী বল্লভ সেন ১৮৯০ সালে তার মা চৌধুরানী শ্যামাসুন্দরী দেবীর নামে খালটি পুনঃখনন করেন। এই খালটির পূর্বের নাম ছিল ঘোষ খাল। এটি ঘাঘট নদী থেকে শুরু করে নগরীর ধাপ পাশারী পাড়া, কেরানীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, গোমস্তাপাড়া, সেনপাড়া, মুলাটোল, তেঁতুলতলা, নূরপুর, বৈরাগীপাড়া হয়ে মাহিগঞ্জের মরা ঘাঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কার না করায় খালটি নাব্যতা হারিয়ে ফেলে। এর দুই পাড় অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে পড়ে খালটি। সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
রংপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, অবৈধ স্থাপনার কারণে খালের দুই পাড় বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাই প্রথমে ১১৭টি অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করে তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এরপর খালের দু’পাড় পরিদর্শন করে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে শ্যামাসুন্দরী খালের দখল-দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ