পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমাদের জাতীয় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয় হয়েছে। অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সেগুলোকে একটা পর্যায়ে দাঁড় করিয়ে দেয়া। তার মধ্যে আমাদের আইনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পুলিশ বিভাগে আইনের শাসন চালু করা। সেই সঙ্গে একটি ভালো নির্বাচন করা। নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কারগুলো এবং সুশাসিত গণতন্ত্র ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য যে সংস্কারগুলো দরকার শুধু সেই সংস্কারগুলোর উপরই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
সোমবার বরিশাল সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি বুঝি না। আমাদের স্বল্প সময়ের মধ্যে এত বছরের পুঞ্জিভুত সমস্যা কেন আমাদের সময়ে পূরণ করতে হবে। আমি আশা করি আগামীতে একটি ভালো নির্বাচিত সরকার আসবে। সেই সময়ে সমস্যা সমাধান করা যাবে। আমরা তো একটা দুইটা বাজেট দিয়ে পূরণ করতে পারবো না। আমরা শুধু শুরু করে দিতে পারি। যা বাজেটের মধ্যে রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, প্রাচ্যর ভেনিস বরিশালের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য শহরের আশপাশের খালগুলো খনন করা হবে। এছাড়া বরিশাল-বানারিপাড়া সন্ধ্যা নদীর উপর সেতু, নথুল্লাবাদ থেকে দপদপিয়া ব্রিজ পর্যন্ত বাইপাস সড়ক, বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ এবং একটি উন্নতমানের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নিমার্ণে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় তিনি জীবনানন্দ দাসের স্মৃতি রক্ষার্থে পাঠাগার নির্মাণ এবং শহরের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন’র সভাপতিত্বে বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবায়দুল হক চান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, সৈয়দ হাতেম আলী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আক্তারুজ্জামান খান, বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সাদিকুর রহমান লিংকন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল