বরিশালে চাঁদা না দেয়ায় ইজারা নেয়া ঘাট দখলের মামলা আসামি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির পরিবর্তে তার ভাই এজলাসে উঠে জামিন নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বরিশাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদী। নকল আসামিকে আদালতে হাজির করে জামিন নেয়ার ঘটনায় বাদী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিতভাবেও অভিযোগ করেছেন।
ওই আসামি হলেন বরিশালের মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল।
বাদী হলেন একই উপজেলার চর ডুমিতলা এলাকার মৃত লোকমান হোসাইন মাতুব্বরের ছেলে হেমায়েত উদ্দিন মাতুব্বর।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর দেয়া আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, মুলাদী থানায় করা মামলার দুই নম্বর আসামি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল। তিনি বাড়িতে বসে থেকে প্রতারনামূলকভাবে সহোদর মো. সোহেলকে হাজিরা সম্পূর্ণ করে। আসামি খুবই ভয়ংকর। বর্তমানে আসামি বাড়িতে অবস্থান করছে। আসামি বাহিরে থাকিলে আমার পরিবার আতংকে থাকতে হয়। তাই আসামিকে গ্রেফতার করার জোর অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. তারিকুল হাসান পলাশ বলেন, বিষয়টি মিথ্যা।
আদালতের জিআরও খাদিজা বেগম বলেন, আসামি হাজির করেছে কিনা বিষয়টি জানি না। তবে শুনেছি আসামির পরিবর্তে অন্য একজনকে হাজির করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল বুধবার জামিন নিয়েছেন জানিয়ে বলেন, তিনি ও মামলার আরেক আসামি হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন। তার পরিবর্তে অন্য কেউ হাজির হয়নি।
এ বিষয়ে মামলার বাদী হেমায়েত উদ্দিন বলেন, তিনি মামলার আসামি জুয়েলকে চিনেন। তার পরিবর্তে সোহেল হাজির হয়ে জামিন নিয়েছে। আগামী ধার্য্য তারিখেই বোঝা যাবে, কে হাজির হয়েছিলেন।
মামলার বরাতে বলেন, ২০২২ সালের উপজেলার চর ডুমিতলা লঞ্চঘাটের ইজারাদার ছিলেন বাদী হেমায়েত উদ্দিন মাতুব্বর। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় ওই বছরের ৭ আগস্ট তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে ঘাট দখল নেয়। ওই সময় থানা মামলা নেয়নি। ৫ আগস্টের পর ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১২ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএ