বাংলাদেশে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলার হার অস্বাভাবিক সংখ্যায় বাড়ছে। আর পরকীয়ায় আসক্ত নর-নারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পরিবার ও সমাজে। এর ফলে পুরো দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেড়েছে। এতে দগ্ধ হচ্ছে পরিবার, ধুঁকছে সমাজ। এর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ ও পারিবারিক সদস্যদের হত্যা করার মতো অপরাধও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পরকীয়ায় জড়াচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাজের অসুস্থ বিনোদন, নিজ রুচি ও যোগ্যতার সঙ্গে জীবনসঙ্গীর মিল খুঁজে না পাওয়া, স্ত্রীকে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া, বিয়ের আগে-পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ম্যারেজ বা ফ্যামিলি কাউন্সিলিং না নেওয়া, স্বামীর অর্থনৈতিক সংকট ও স্ত্রীর উচ্চাভিলাসের কারণেই নর-নারী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। জরিপ বলছে, শহরাঞ্চলে ৮ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ৭ শতাংশ বিবাহিত পুরুষই বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। আর নারীদের মধ্যে গড়ে ০.৩ শতাংশ এ ধরনের সম্পর্কে জড়িত। এদের মধ্যে পুরুষরা তাদের মেয়ে বান্ধবী (৩২ শতাংশ) এবং আত্মীয়দের (১৫%) সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়াচ্ছে। আর যেসব পুরুষ বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তাদের বিয়ের পর পরকীয়ায় জড়ানোর প্রবণতা বেশি থাকে। ‘বেজলাইন এইচআইভি/এইডস সার্ভে এমোং ইয়ুথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণা থেকে এমনটি জানা যায়। আবার ঢাকা সিটি করপোরেশনে তালাক নিয়ে কাজ করেন এমন কয়েকজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশে আগের চেয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। তারা আরও জানান, যেসব দম্পতি আমাদের কাছে তালাকের জন্য আবেদন করেন এদের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ স্বামী-স্ত্রী নিজেদের সম্পর্ক ভাঙার কারণ হিসেবে পরকীয়াকে দায়ী করেন। বাংলাদেশের যুবসমাজের ওপর আচরণগত বেইজ লাইন সার্ভেতে উল্লেখ করা হয় যে, দেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে ষাটের দশকের তুলনায় বর্তমানে বিবাহ বহির্ভূত ও বিবাহপূর্বক অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার হার তিনগুণ বেশি। বর্তমানে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জনই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। সমাজবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে পাশ্চাত্যের মতো বাংলাদেশেও পারিবারিক সম্পর্কগুলোতে ভাঙন ধরবে। তবে এই অবস্থা রোধ করতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতাবিষয়ক শিক্ষা প্রদান, গণমাধ্যমে সুষ্ঠু প্রচারযোগ্য অনুষ্ঠান প্রচার ও পারিবারিক মূল্যবোধ তৈরির ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, পরকীয়ার ঘটনাগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক কারণ জড়িত। তিনি আরও বলেন, দেশের সেসব স্ত্রীর-স্বামী প্রবাসে থাকে তাদের তুলনামূলক বেশি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। দেখা যাচ্ছে যে, কিছু ক্ষেত্রে অভিভাবকরা পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পারিবারিক কলহ থেকে সন্তানকে হত্যা করছে। এ ক্ষেত্রে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে কোনো বাধা পেলে ক্রোধের বশবর্তী হয়ে হত্যার মতো গুরুতর অপরাধে তারা জড়িয়ে পড়ছেন।
শিরোনাম
- ‘জবাবদিহিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি’
- ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আরও এক আসামি গ্রেফতার
- অগণতান্ত্রিক শক্তির বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান যুবদল সভাপতির
- মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র্যাব
- ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র্যাব
- নদীর এই বাঁধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো সম্ভব নয় : দুর্যোগ উপদেষ্টা
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে
- সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী
- মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের
- পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল
- গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বানাচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
- ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় লেবাননে হতাহত ৬
- গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি
- হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ জুলাই)
- জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
- রেকর্ড বইয়ের পাতায় ইংল্যান্ডের স্মিথ
- বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
- রাজধানীর মিরপুর থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
সামাজিক অবক্ষয় ২
যত সর্বনাশ পরকীয়ায়
জিন্নাতুন নূর
অনলাইন ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর