শিরোনাম
- পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে উড়ে গেল ভারতীয় সেনা চেকপোস্ট
- পলকের প্রেমে পাগল সাইফপুত্র ইব্রাহিম? স্ক্রিনিংয়ে একসঙ্গে হাজির
- ছাদে খেলাই কেড়ে নিল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইমনের জীবন
- অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ডিন হতে পারবেন না শাবি অধ্যাপক হিমাদ্রি
- ভারত-পাকিস্তানকে উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
- শ্রমিক দিবসে রিকশাচালকদের পাশে নারায়ণগঞ্জ ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ’
- কেনিয়ায় চলন্ত গাড়িতে গুলি করে এমপিকে হত্যা
- ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ১৫ হাজার সেনা, হতাহত ৪,৭০০
- ৩ মে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ
- আমরা প্রস্তুত, আমাদের পরীক্ষা নিও না : হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর
- ২০২৬ নারী বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যুর নাম ঘোষণা
- শুল্কনীতির প্রভাবে মার্কিন অর্থনীতি সংকুচিত, বাইডেনকে দুষলেন ট্রাম্প
- চুয়াডাঙ্গায় মহান মে দিবস পালিত
- ‘বিএনপি অতীতের সকল সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’
- সোনারগাঁয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
- শ্রম-শ্রমিক এই দুইয়ের উপরেই আজকের আধুনিক সভ্যতা
- শ্রমিকদের রক্তের বিনিময়ে আমরা গণতন্ত্র পেয়েছি: দুলু
- চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
- বিশ্বে প্রথমবার দুই রোবটের বক্সিং ম্যাচ
- নোয়াখালীতে গণ অধিকার পরিষদের উদ্যোগে শ্রমিক দিবস পালিত
রামেকে প্রবেশ কার্ড না থাকায় রোগীর বাবাকে মারধর
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) মারধরের অভিযোগ এনে দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক রোগীর স্বজন।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানায় এ অভিযোগ দেন রোগীর স্বজন আবদুল্লাহ আল মামুন।
আবদুল্লাহ আল মামুন নগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচণ্ডী দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার ৯ মাস বয়সী সন্তান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত দুই আনসার সদস্য হলেন সবুজ (৩২) ও নুর আলম।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডার কারণে ৯ মাসের শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করেন বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই শিশুর জন্য মামুন প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে হাসপাতালে প্রবেশ করতে গেলে তিনি আনসার সদস্যদের বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় তার কাছে প্রবেশ কার্ড ছিল না। তিনি আনসার সদস্যের কাছে বলেন, তাড়াহুড়োর জন্য ভুলে প্রবেশ পাস কার্ড রেখে এসেছেন। তবে প্রবেশ কার্ড ছাড়া আনসার সদস্য তাকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না। তখন একটু জোর করলে তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে হাতের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন সবুজ, নুর আলমসহ কয়েকজন। এ ঘটনা হাসপাতালের পরিচালককে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে তার অভিযোগ।
আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি এ কারণে ওই দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, হাসপাতালে প্রবেশের একটি পাস কার্ড আছে। ওই কার্ড না দেখালে হাসপাতালে প্রবেশের নিয়ম নেই। কিন্তু ওই দিন হয়তো তার কাছে কার্ডটা ছিল না। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কিছু একটা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আনসার সদস্যরাও অনেক সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারা ভুলে যান যে, তারা মানুষের সেবা দিচ্ছেন। তাদের বারবার বলা হয়েছে, কারও গায়ে যেন তারা হাত না তোলেন। কারও সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা না বলেন। কিন্তু তারা এটা মানছেন না। আবার রোগীর স্বজনরাও নিয়ম মেনে পাস কার্ড নেন না। কার্ডটা দেখালেই আর কোনো সমস্যা হয় না। তবে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে থানায় একটি অভিযোগ এসেছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর